উপভোক্তাদের আবাস যোজনার টাকা পাওয়াতে তৎপর প্রশাসন। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের নির্দেশের পরে এখন জোরদার প্রস্তুতি চলছে প্রশাসনের নানা স্তরে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে উপভোক্তাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে প্রতিটি বুথ এলাকায়।
১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি বুথ এলাকায় গ্রাম সংসদ সভা ডেকে নামের তালিকা সকলের অনুমতি নিয়ে চূড়ান্ত করে ব্লক অফিসে জমা দিতে হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে ব্লক অফিসগুলিকে। তারপরে ধাপে ধাপে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আবাস যোজনার টাকা ঢুকবে।
কাকদ্বীপ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ১১টি পঞ্চায়েত মিলিয়ে প্রায় ১৭০০০ নামের তালিকা প্রস্তুত আছে। প্রতিটি বুথ এলাকায় গ্রাম সংসদ সভায় তালিকা চূড়ান্ত হবে। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা খুবই চাপের। আমরা শনি-রবিবার ছুটি না নিয়ে কাজ করছি।’’
কাকদ্বীপের বিডিও ঋক গোস্বামী বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। নভেম্বরের মধ্যেই নামের তালিকা চূড়ান্ত করে জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ১৭০০০ নামের তালিকা থেকে কিছু নাম বিভিন্ন কারণে বাদ যেতে পারে। কিন্তু নতুন করে কোনও নাম এন্ট্রি করার অনুমোদন আসেনি।’’
সাগর ব্লকেও প্রায় ১২০০০ নামের তালিকা প্রস্তুত আছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ওই এলাকার ধসপাড়া ও সুমতিনগর পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল, ১৬০৭ জনের তালিকা তৈরি হয়েছিল। ১৪১৩ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়। এঁদের মধ্যে ৮২৫ জনের জবকার্ড নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিদের জবকার্ড না থাকায় আবাস যোজনার ঘর তাঁরা পাবেন না। বিষয়টি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধসপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৌশিক পাল।
সাগর ব্লকের খানসাহেব আবাদ গ্রামের বাসিন্দা মল্লিকা দাস জানালেন, আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন মাস ছ’য়েক আগে। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি। এবার টাকা পাবেন বলে জেনে তিনি নিশ্চিন্ত।
সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকেরা তাঁদের বাড়ি পাবেন। চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ চলছে।’’
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অরুণাভ দাস বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, নামের তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে কে কোন দলের, তা বিবেচনা করা হবে। কেউ বিজেপি করলে নাম বাদ পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রাম সংসদ সভায় ব্লক অফিসের একজন আধিকারিকের উপস্থিত থাকা দরকার।’’
সাগর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য মহিতোষ দাস বলেন, ‘‘বিজেপির আশঙ্কা অমূলক। এখানে কে বিজেপি, কে সিপিএম— তা দেখা হয় না। যিনি যোগ্য, তিনিই পাবেন। পঞ্চায়েত এলাকায় সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী সকলেই আবাস যোজনার ঘর পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy