Advertisement
০৭ মে ২০২৪

ষাঁড়কে বাঁচাতে রাত জেগে চলল শুশ্রূষা

বনগাঁ জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার সংহতি স্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় ষাঁড়টি। তার শরীরের বেশির ভাগ অংশে চামড়া উঠে গিয়েছে। গোটা শরীর রক্তাক্ত। ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে দূরে ছিটকে পড়েছিল ষাঁড়টি।

আশ্রয়: জখম ষাঁড়। ছবি: শান্তনু হালদার

আশ্রয়: জখম ষাঁড়। ছবি: শান্তনু হালদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবরা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০২:৫১
Share: Save:

সুস্থ করে তুলতে হবে। সে জন্য কেউ কেউ এলাকার চাঁদা তুলছেন। অনেকে আবার ভাত, খড়-বিচুলি খেতে দেওয়ার ব্যস্ত। মহিলারা আবার শাড়িতে ওষুধ লাগিয়ে শরীর ঢেকে দিচ্ছেন। ট্রেনের ধাক্কায় একটি জখম ষাঁড়কে বাঁচাতে এ ভাবেই শোরগোল পড়েছে হাবরা থানার সংহতি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

বনগাঁ জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার সংহতি স্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় ষাঁড়টি। তার শরীরের বেশির ভাগ অংশে চামড়া উঠে গিয়েছে। গোটা শরীর রক্তাক্ত। ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে দূরে ছিটকে পড়েছিল ষাঁড়টি। সাময়িক জ্ঞানও হারায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাই ষাঁড়ের মুখে জল ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরান। সুমন মজুমদার, হৃদয় দত্ত, নিখিল ব্যাপারীর মতো বহু মানুষ চাঁদা তুলে চিকিৎসা শুরু করেন। স্থানীয় একজন পশু চিকিৎসককে ডেকে আনা হয়। রাত জেগে চলে শুশ্রূষা। ষাঁড়টি এখন স্থানীয় যুবক সুমন মজুমদারের বাড়ির পাশে রয়েছে। সুমনের মা সোমবার সকালে তাকে খেতে দেওয়ার জন্য বেশি করে ভাত রান্না করেছিলেন। এক মহিলার কথায়, ‘‘ষাঁড়টি চোখের সামনে কষ্ট পাচ্ছে দেখে আমাদের পক্ষে বসে থাকা সম্ভব ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Treatment Bull
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE