পশু চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে পোষ্য বিড়াল। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পগনার নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন কলেজছাত্রী। ১০ মাসের ওই পোষ্যটিকে খুঁজে দিতে পারলে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির ইংরেজি অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দেবপ্রিয়া ঘোষ। বিড়ালের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশও।
যাদবপুর এলাকার সন্তোষপুরের বাসিন্দা দেবপ্রিয়া জানান, তাঁদের বাড়িতে অনেক পোষ্য আছে। তার মধ্যে সাদা রঙের একটি বিড়াল তাঁর সবচেয়ে আদরের। ওই বিড়ালটির নিউটার করার জন্য গত ২৯ এপ্রিল নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ এলাকার আটঘরার একটি পশু চিকিৎসালয়ে ভর্তি করান দেবপ্রিয়া। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৩৩০০ টাকা দেন। কথা ছিল, গত ৭ মে বিড়ালটিকে ছাড়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে হাসপাতালে গিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ পান বলে অভিযোগ কলেজছাত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে জানানো হয়, বিড়ালটিকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না। পরে আবার যোগাযোগ করি। তখন হাসপাতাল থেকে জানায় বিড়ালটি নিখোঁজ! বার বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নেওয়ার পরেও সঠিক জবাব মেলেনি।’’
কলেজছাত্রীর দাবি, পরে তিনি জানতে পারেন পশু চিকিৎসালয়ে বিড়ালটিকে ভর্তি করানোর পরের দিনই সে পালিয়ে গিয়েছে। সেই তথ্য বেমালুম চেপে গিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এখানেই শেষ নয়, তিনি পোষ্যের খোঁজ নিতে গিলে প্রতিবারই তাঁকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। তাই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও সূত্র মারফত খবর। অন্য দিকে, দেবপ্রিয়া এবং তাঁর পরিবার নিজেদের উদ্যোগে বিড়ালটির খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আটঘরা এলাকায় হাতে তৈরি পোস্টার বিলি করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমেও প্রচার করছেন। কলেজছাত্রীর ঘোষণা, ‘‘আমার পোষ্য বিড়ালের সন্ধান দিতে পারলে ২০০০ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেব।’’