— প্রতীকী ছবি।
বাড়ির সামনে নেশাখোরদের নিত্য আড্ডা। চেঁচামেচিতে পড়াশোনা মাথায় উঠেছে বোনের। বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দাদা। উল্টে তাঁকেই বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ছেলেকে বাঁচাতে এসে মার খান তাঁর বাবা। ছেলে এবং স্বামীকে মার খেতে দেখে বাইরে এসে হামলার মুখে পড়েন যুবকের মা। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার পারগাঁথিতে। অধরা অভিযুক্তেরা।
পারগাঁথিতেই বাড়ি যুবকের। তাঁর বাড়ির সামনে নিত্য জটলা নেশাখোরদের। তাঁদের চিৎকার, চেঁচামেচিতে পরিবেশের দফারফা। শুক্রবার রাতে পরিস্থিতি এমনই হয় যে বাড়িতে বসে পড়াশোনা পর্যন্ত করতে পারছিল না যুবকের বোন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে নেশাখোরদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখন যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবাও হামলার মুখে প়ড়েন। হাতুড়ি দিয়ে মেরে যুবকের বাবার মাথা ফাটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ছেলে, স্বামীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে দেখে স্থির থাকতে পারেননি যুবকের মা। তিনি পেশায় আশাকর্মী। ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছেলে ও স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন দুষ্কৃতীরা ওই মহিলাকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তার পর চম্পট দেয়।
শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পারগাঁথিতে। রাতেই জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্তরা। শনিবার আক্রান্তদের মধ্যে বাবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy