Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মদ্যপানের প্রতিবাদ, আক্রান্ত যুবক

অভিযোগ, এরপরেই অভিযুক্ত মহাদেব মাইতি, কালিদাস মাইতি ও প্রদীপ মাইতি বেধড়ক মারধর করেন  পার্থসারথি ও নিরঞ্জনকে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন পার্থ। তার ঠোঁটের উপরের দিকে বেশ খানিকটা কেটে যায়।

অসুস্থ: পার্থসারথি মিস্ত্রি

অসুস্থ: পার্থসারথি মিস্ত্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বাসন্তী শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১৮
Share: Save:

রাস্তার পাশে বিশ্রামাগারে বসে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন এক যুবক। আক্রান্ত যুবকের নাম পার্থসারথি মিস্ত্রি। আক্রান্ত হন পার্থর কাকা নিরঞ্জন মিস্ত্রিও। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার চোরাডাকাতিয়া গ্রামে। গুরুতর জখম অবস্থায় পার্থকে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরই পার্থ বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়ের পাশে চোরাডাকাতিয়া মোড়ে পথচারী ও যাত্রীদের জন্য তৈরি বিশ্রামাগারে বসে কিছু যুবক প্রতিদিনই মদ খান। অভিযোগ, এরপরই মাতলামি শুরু হয়। শনিবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় নিরাঞ্জন ও পার্থ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। কেন সরকারি এই জায়গায় বসে তারা প্রতিদিন মদ খেয়ে মাতলামো করবে।

অভিযোগ, এরপরেই অভিযুক্ত মহাদেব মাইতি, কালিদাস মাইতি ও প্রদীপ মাইতি বেধড়ক মারধর করেন পার্থসারথি ও নিরঞ্জনকে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন পার্থ। তার ঠোঁটের উপরের দিকে বেশ খানিকটা কেটে যায়। শনিবার রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। যদিও পুলিশ এখনও এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। ঘটনার পর থেকেই যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন পার্থ ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ফের তাঁদের উপর আক্রমণ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তাঁরা।

পার্থ বলেন, “মদ খেয়ে পথ চলতি মানুষকে গালিগালাজ করে তারা। শনিবার রাতেও একই ঘটনা ঘটায় আমি আর কাকা প্রতিবাদ করেছিলাম। ওরা প্রথমে কাকাকে মারধর করে, আমি ঠেকাতে গেলে আমায় বেধড়ক মারে।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Youth Attack Basanti
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE