মৃত: সৌরভ মণ্ডল
বাড়ির অমতে বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছিলেন বসিরহাটের এক তরুণ। বৃহস্পতিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল সেখানেই। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সৌরভ মণ্ডল (১৯)। বাড়ি সংগ্রামপুরে। তিনি টাকি সরকারি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বেশ কিছু দিন নিখোঁজ ছিলেন সৌরভ। বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে শনিবার ভোরে দেহটি বসিরহাটের বাড়িতে পৌঁছয়। গলায় দড়ি দিয়ে সৌরভ আত্মহত্যা করেছেন বলে সেখানকার পুলিশের অনুমান। কিন্তু সৌরভের দেহের একাধিক জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন দেখে তাঁর পরিবার প্রশ্ন তুলেছে। এক তরুণী-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে মৃতের মা বিজলি মণ্ডল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের সংগ্রামপুর-শিবহাটি পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান বিজলিদেবীর বড় ছেলে সৌরভ ২৫ ফেব্রয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। বসিরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সৌরভের সঙ্গে একই কলেজে একই ক্লাসে পড়তেন এলাকার এক তরুণী। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বন্ধুদের সাহায্যে সৌরভ বিয়ে করে ওই তরুণীকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে যান।
বিজলিদেবী ও তাঁর স্বামী দিবসবাবু বলেন, ‘‘বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেছিলাম। বৌমাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা হয়েছিল। ছেলে বলেছিল, বাড়ি ফিরতে তিন-চার দিন লাগবে।’’ বৃহস্পতিবার সকালে বেঙ্গালুরু পুলিশ ফোনে ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানায়। বৌমা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানায় সেখানকার পুলিশ।
বিজলিদেবী-সহ পরিবারের অন্যদের বক্তব্য, একটা ঘরের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী ছিল। তা হলে কী ভাবে স্ত্রীর সামনে সৌরভ গলায় দড়ি দিলেন। তাঁকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। দোষীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন মণ্ডল পরিবার। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy