Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আবাসনের পাশের ঝোপে ছাত্রের দেহ, গ্রেফতার তিন বন্ধু

দু’দিন ধরে নিখোঁজ হিন্দমোটরের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের দেহ মিলল তাদেরই আবাসনের অদূরের একটি ঝোপে, বিদ্যুতের তার জড়ানো অবস্থায়। শনিবার সকালের ঘটনা। মৃতের নাম প্রিন্স সিংহ (১৭)। বন্ধুরা তাকে খুন করেছে বলে প্রিন্সের পরিবারের লোকজনের সন্দেহ। তবে, কী কারণে খুন করতে পারে, তা নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি। কোনও লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়নি। পুলিশের অনুমান, বন্ধুদের সঙ্গে কোনও কারণে ওই ঝোপে গিয়েছিল প্রিন্স। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়।

প্রিন্স সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।

প্রিন্স সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২১
Share: Save:

দু’দিন ধরে নিখোঁজ হিন্দমোটরের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের দেহ মিলল তাদেরই আবাসনের অদূরের একটি ঝোপে, বিদ্যুতের তার জড়ানো অবস্থায়। শনিবার সকালের ঘটনা। মৃতের নাম প্রিন্স সিংহ (১৭)। বন্ধুরা তাকে খুন করেছে বলে প্রিন্সের পরিবারের লোকজনের সন্দেহ। তবে, কী কারণে খুন করতে পারে, তা নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি। কোনও লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়নি।

পুলিশের অনুমান, বন্ধুদের সঙ্গে কোনও কারণে ওই ঝোপে গিয়েছিল প্রিন্স। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, একটি ভেঙে পড়া বিদ্যুতের খুঁটির সামনে থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। ছেলেটির মুখ কালো হয়ে গিয়েছিল। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে প্রিন্সের তিন বন্ধুকে।

প্রিন্সের বাবা সর্বেশ সিংহ হিন্দমোটর কারখানার কর্মী। হিন্দমোটর হাইস্কুলের পাশে কর্মী আবাসনে থাকেন। প্রিন্স ওই স্কুলেরই ছাত্র। পরিবারের লোকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রিন্স আর ফেরেনি। শুক্রবার সকালে উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তাঁদের দাবি, ওই রাতে তাকে আবাসনের আশপাশে চার বন্ধুর সঙ্গে শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল বলে তাঁরা জেনেছেন।

শনিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, কারখানারই পরিত্যক্ত একটি আবাসনের সামনে দেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রিন্সের বাবা সর্বেশবাবু এবং মা ঊষাদেবী দু’জনেরই অভিযোগ, “ছেলেকে বন্ধুরাই মেরেছে। বন্ধুরা যদি কিছু না-ই করে থাকে, তা হলে বাড়িতে জানাল না কেন? থানায় সব জানিয়েছি। পুলিশ বিচার করুক।” তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার অবশ্য বলেন, “মনে হচ্ছে, প্রিন্সের বন্ধুরা ভয়ে কিছু বলেনি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE