Advertisement
E-Paper

কলেজ সোস্যালের জন্য টাকার দাবিতে ঘেরাও অধ্যক্ষকে

কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে দিন কয়েক আগেই আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। সেই দাবিতে হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষকে বার দু’য়েক ঘেরাও করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৮

কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে দিন কয়েক আগেই আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। সেই দাবিতে হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষকে বার দু’য়েক ঘেরাও করা হয়। ‘নিরাপত্তার অভাব’ বোধ করে সপ্তাহখানেক আগে পুলিশ-প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল। মঙ্গলবার ফের টাকার দাবিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করা হল অধ্যক্ষ-সহ শিক্ষকদের।

এ বার অবশ্য ছাত্র সংসদ সরাসরি আন্দোলনে সামিল হয়নি। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরই রাখা হয়েছিল সামনের সারিতে। সকাল থেকে পুলিশও ছিল কলেজে। ছাত্রছাত্রীরা লিখিত ভাবে অধ্যক্ষকে তাদের দাবি জানায়। যা পরিচালন সমিতির সভাপতি কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠান অধ্যক্ষ। এরপরেই রাত ৮টা নাগাদ ঘেরাও ওঠে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি কালাম মণ্ডলের কথায়, “সাধারণ পড়ুয়ারা অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে ঘেরাও হয়নি।” যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের নাম করে এ সব করা যাবে না। অধ্যক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অশোক রুদ্রকে পাঠাবো কলেজে।”

কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ টিচার ইন কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। সে সময়ে জনা চল্লিশ ছাত্রছাত্রী হাজির হয় ঘরে। অধ্যক্ষ-সহ জনা পঁয়তিরিশ শিক্ষক ছিলেন সেখানে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য টাকা চেয়ে ঘেরাও শুরু করে ওই পড়ুয়ারা। ইন্দ্রমোহনবাবু জানান, শুরুর দিকে এই দাবি করা হলেও পরে ছাত্রছাত্রীরা দাবি করে, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে যে সেশন ফি নেওয়া হয়েছে, সেই টাকা (আনুমানিক সাড়ে ৩ লক্ষ) ছাত্র সংসদের হাতে তুলে দিতে হবে। ২০১৩-১৪ সালের ওই টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে ছাত্র সংসদকে। কিন্তু অধ্যক্ষ জানান, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে কোনও ছাত্র সংসদ ছিল না কলেজে। কাজেই সে সময়ে সেশন ফি বাবদ পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা দেওয়া যাবে না ছাত্র সংসদের হাতে। কিন্তু অধ্যক্ষের যুক্তি মানতে চায়নি আন্দোলনকারীরা।

কৃষ্ণগোপালবাবু বলেন, “আমরা আগেই পরিচালন সমিতিতে বৈঠক করে অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম, ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠান করতে চায়। ওই টাকা দিয়ে দেওয়া হোক। এখন অধ্যক্ষ চিঠি দিয়েছেন আমাকে। টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।”

cultural programme sri chaitanya college gherao principal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy