Advertisement
E-Paper

ঘরে আটকে ছাত্রীকে ধর্ষণের নালিশ, ধৃত গৃহশিক্ষক

বাড়ির পাশেই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটি। সঙ্গে ছোট ভাই। কিন্তু, ছাত্রীটি ভুল উত্তর লিখেছে, এই অজুহাতে বাকিদের ছেড়ে দিলেও মেয়েটিকে ঘরে আটকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার কুলিয়ার ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫৩

বাড়ির পাশেই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটি। সঙ্গে ছোট ভাই। কিন্তু, ছাত্রীটি ভুল উত্তর লিখেছে, এই অজুহাতে বাকিদের ছেড়ে দিলেও মেয়েটিকে ঘরে আটকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার কুলিয়ার ঘটনা।

কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুভঙ্কর প্রামাণিক নামে বছর তেইশের ওই যুবককে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে, সে মিনিট দশেক ধরে মেয়েটির উপর নির্যাতন চালিয়েছে। অত্যাচারের পরে যখন মেয়েটির নাগাড়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়, তখন ভয় পেয়ে সে হেলেঞ্চায় ছাত্রীটিকে নিয়ে যায় এক হাতুড়েকে দেখাবে বলে। তাতেও কাজ হয়নি। প্রথমে ছাত্রীটিকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাতেই আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। রবিবার অবশ্য তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকে ওই কিশোরী ও তার ভাইকে শুভঙ্করের কাছে পড়তে পাঠান পরিবারের লোকজন। শনিবার বিকেলেও তারা পড়তে গিয়েছিল। কিশোরীর মা বলেন, “ছেলে বাড়ি ফিরে এলেও মেয়ে আসেনি।” অনেকক্ষণ মেয়ে না আসায় শুভঙ্করের বাড়িতে খোঁজ নিতে যান কিশোরীর বাবা। তাঁর দাবি, শুভঙ্করের বোনেরা তাঁকে জানান, মঙ্গলবার তাদের এক দাদার জন্মদিন। তার আয়োজন করতে শুভঙ্কর ওই ছাত্রীকে নিয়ে হেলেঞ্চায় গিয়েছে। ঠিক সময়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শুভঙ্করের দুই বোন নির্যাতিতার মাকে বাড়িতে ডাকতে আসে। বলে, শুভঙ্করের মা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান।

রান্নায় দেরি হবে বলে কিশোরীর মা যাননি। তিনি বলেন, “শুভঙ্করের মাকে ফোন করি। উনি আমাদের হেলেঞ্চা যেতে অনুরোধ করে বলেন, সাইকেল থেকে মেয়ে পড়ে গিয়েছে। রক্ত বেরোচ্ছে।” গাড়ি ভাড়া করে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, হেলেঞ্চা বাজারের কাছে ওই কিশোরীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুভঙ্কর। মেয়েটির রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নির্যাতিতার বাবার দাবি, মেয়ে কখনও সাইকেলেই হাত দেয়নি। পরে মেয়ের মুখ থেকে সব ঘটনা জানতে পারেন তাঁরা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময়ে শুভঙ্করের পরিবারের লোকজন বাড়িতেই অন্য ঘরে ছিলেন। তাঁরা কিছু জানতেন কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ।

home tutor rape bagda subhankar pramanick southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy