একটি ঘর তৈরি করাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে সোমবার দেগঙ্গার সোহাই বাজারে গুরুতর জখম হলেন দু’জন। তাঁদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একই কারণে হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে রাখিবন্ধন উৎসবে গোলমালকে কেন্দ্র করে রবিবার একটি দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। দুই ঘটনায় দলের জেলা নেতৃত্ব বিব্রত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোহাই বাজারে তৃণমূল কর্মী আব্দুল সাত্তারের একটি মুদি দোকান রয়েছে। ওই দোকানের সামনের জমিতে কয়েক দিন ধরে আর এক তৃণমূল কর্মী হারুন শাহজি একটি ঘর বানানোর চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। তা মানতে পারেননি আব্দুল। দু’পক্ষ দুই গোষ্ঠীর অনুগামী। দু’পক্ষের গোলমাল থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। গত শনিবার দলের স্থানীয় কার্যালয়ে দু’পক্ষকে ডেকে দীর্ঘ আলোচনাতেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হারুন শাহজির ছেলেরা ঘরের কাজ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা, রড নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। আব্দুল সাত্তার ছাড়াও মেহবুব আলম নামে আর এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। গোলমালের সময়ে আব্দুলের ভাই ইন্তেফ আলম ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকেও মারধর করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে ধান কেনার কয়েক হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বলেন, “ওখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। তেমন বড় কিছু নয়। স্থানীয় নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছেন। আমরা গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।”
অন্য দিকে, রাখিবন্ধন উৎসবকে ঘিরে গত শনিবার হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে গোলমালে জড়িয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী। তাতে এক তৃণমূল নেতার নামও জড়ায়। সেই নেতার শাস্তির দাবিতে রবিবার দলেরই একটি গোষ্ঠী দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য তালা খুলে ওই কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতারা।
দলের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সভাপতি দেবেশ মণ্ডল বলেন, “কলেজে রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে দলের দু’চার জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। থানায় অভিযোগ হয়েছে। দলের দু’পক্ষের গোলমাল মেটানোর জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy