Advertisement
E-Paper

নদীর ধারে বধূর দেহ, গ্রেফতার স্বামী-সহ ৪

বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী-সহ চার জনকে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার বেলেঘাটার বৈদ্যপাড়ায়। পুলিশ জানায়, রোজিনা বিবি (২৫) নামে ওই বধূর দেহ পড়েছিল বিদ্যাধরী নদীর ধারে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দেহ উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৪ ০১:০৯

বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী-সহ চার জনকে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার বেলেঘাটার বৈদ্যপাড়ায়। পুলিশ জানায়, রোজিনা বিবি (২৫) নামে ওই বধূর দেহ পড়েছিল বিদ্যাধরী নদীর ধারে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দেহ উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর এগারো আগে বসিরহাটের কাঁকড়া-মির্জানগর গ্রামের রোজিনার সঙ্গে বিয়ে হয় বেলেঘাটার প্রতিবন্ধী যুবক সিরাজুল গাজির। সিরাজুল ঠিক মতো কথা বলতে পারেন না। বিয়ের পরে আরও পণের দাবিতে অত্যাচার চলত বধূটির উপরে। পর পর দুই কন্যাসন্তান হওয়ায় সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে বলে অভিযোগ রোজিনার বাপের বাড়ির আত্মীয়-স্বজনের। ইতিমধ্যে, শ্বশুরবাড়ির এক টুকরো জমি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। এ বিষয়ে গ্রামের মাতব্বরদের নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা বসলেও কোনও মীমাংসা সূত্র বেরোয়নি। উল্টে রোজিনা ও তাঁর সন্তানদের উপরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। তারই জেরে বছর ছ’য়েকের বড় মেয়ে সাহিনা খাতুনকে নিয়ে আসা হয় মামার বাড়িতে।

ওই মহিলার প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যেই ওই বাড়ি থেকে গোলমালের শব্দ আসত। সোমবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার আওয়াজ এসেছে। রোজিনাকে মারধর করা হচ্ছিল বলেও সন্দেহ পড়শিদের। সকালে জানা যায়, রোজিনার দেহ পড়ে আছে নদীর ধারে। মুখ দিয়ে রক্ত-গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। রোজিনার দাদা আর্সাদ আলির অভিযোগ, গলা টিপে খুন করা হয়েছে বোনকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে স্বামী সিরাজুল গাজি, শ্বশুর বাহার আলি, শাশুড়ি জবেদা বিবি এবং দেওর মিজানুর গাজিকে। অভিযুক্ত আরও সাত জনের খোঁজ করছে পুলিশ। বাহারের অবশ্য দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বৌমার।

dead body river bank bashirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy