বাজেয়াপ্ত করা পিচের ড্রাম। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা তৈরির জন্য ড্রামে মজুত পিচ চুরি করে ধরা পড়ল চার দুষ্কৃতী। ১৯ অক্টোবর গভীর রাতে গাইঘাটা থানা এলাকার জয়তারায় নৈশ প্রহরীকে মারধর করে পিচ ভর্তি ড্রাম লুঠ করে পালায় তারা। গত মঙ্গলবার এই মর্মে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দীর্ঘ দিন ধরে চালু পিচ-চুরির একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার কলাসীমা বাজার থেকে মোড়লডাঙা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সড়ক রোজগার যোজনা প্রকল্পে পিচের রাস্তা তৈরির জন্য জয়তারা এলাকায় শ্রমিকদের ক্যাম্প ও গোডাউন তৈরি করা হয়েছিল। অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে গাড়ি করে জনা চারেক দুষ্কৃতী সেখানে হানা দেয়। নৈশপ্রহরী কেশব দাসকে মারধর করে ২৩ ড্রাম পিচ তারা লুঠ করে নিয়ে যায়।
ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ নোয়াপাড়া থানার গাড়ুলিয়া থেকে শেখ লালু ও জগদ্দল থানার শ্যামনগর থেকে শঙ্কর সরকার ওরফে পুচুকে তাদের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে। বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা ওই রাতের লুঠের কথা স্বীকার করেছে। গাড়িতে করে রাতে বিভিন্ন সড়কে তারা চুরির উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়ায় বলেও জানিয়েছে। জেরায় তাদের আরও দুই সঙ্গীর হদিস জানতে পারে পুলিশ। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর ঝিলপাড় এলাকা থেকে উপল বিশ্বাস ও বীজপুর থানার রবীন্দ্রনগর থেকে প্রকাশচন্দ্র ঘোষ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উপলের বাড়ি থেকে ৩৫ ড্রাম পিচ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি ড্রামের মূল্য প্রায় ৮ হাজার টাকা।
পুলিশের দাবি, চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনের খোঁজ চলছে। যে গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা পিচ লুঠ করতে এসেছিল, সেটিও পুলিশ আটক করেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, জয়তারা থেকে চুরি করা পিচ প্রকাশের মাধ্যমে তারা ঠিকাদারি কর্মী উপলের কাছে বিক্রি করেছিল। কিছু দিন আগে চক্রটি আশোকনগর থেকেও একই ভাবে রাস্তা তৈরির পিচ ভর্তি ড্রাম চুরি করে। উদ্ধার হওয়া ড্রামের মধ্যে ওই চুরির পিচও মিলেছে। উপল ঠিকাদারির কাজ করে। রাস্তায় যা দেখে তা চুরি করে নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy