Advertisement
E-Paper

বিধায়কের আচরণে পদত্যাগ

মহিলাদের সঙ্গে দলীয় বিধায়কের অভব্য আচররণ করেন বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তারই প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করলেন ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের সরিষা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মোহন পাড়ুই। সরিষা পঞ্চায়েতে ঝিঙেরপোল মোড় থেকে আমিড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার দ্রুত সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিধায়ক দীপক হালদারের সঙ্গে দেখা করতে যান জনা পঁচিশ মহিলা। বিধায়ক এবং তাঁর দলবলের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২৫

মহিলাদের সঙ্গে দলীয় বিধায়কের অভব্য আচররণ করেন বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তারই প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করলেন ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের সরিষা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মোহন পাড়ুই। সরিষা পঞ্চায়েতে ঝিঙেরপোল মোড় থেকে আমিড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার দ্রুত সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিধায়ক দীপক হালদারের সঙ্গে দেখা করতে যান জনা পঁচিশ মহিলা। বিধায়ক এবং তাঁর দলবলের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। অভিযোগ, বিধায়ক মহিলাদের অসম্মান করেন। তাঁর লোকজন কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তাঁদের। বিধায়ক অভিযোগ উড়িয়ে মহিলাদের ঘাড়ে দোষ চাপালেও, ওই ঘটনার জেরে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পরে যায়। বৃহস্পতিবারেই মোহনবাবু ঘটনার নিন্দা করে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এ দিন তিনি ডায়মন্ডহারবার ২-এর বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। শ’খানেক গ্রামবাসী মিছিল করে তাঁর সঙ্গে বিডিও অফিসে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে মোহনবাবু বলেন, “গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বিধায়ক পাল্টা তাঁদেরই মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। এর প্রতিবাদেই পদত্যাগ করছি।” বিডিও তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “উনি পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। শুনানির পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।”

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, নির্বাচনের প্রচারে এসে ওই রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন দীপকবাবু। কিন্তু ভোটে জেতার পরে সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও কিছুই হয়নি। রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে কথা বলতেই বিধায়কের কাছে যান গ্রামবাসীরা। তাঁদের মধ্যে আমিড়া গ্রাম থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য মোহনবাবুর স্ত্রী মুক্তিদেবীও ছিলেন। সেখানেই দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। বিধায়ক পাল্টা পুলিশের কাছে মহিলাদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেন। ২০-২৫ বছর আগে ইট পাতা রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। সংস্কারের অভাবে ইট উঠে ছোটবড় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা নেই। গ্রামের বাসিন্দা বাপন সর্দার, অরূপ কয়ালের কথায়, রাতবিরেতে অসুস্থ লোকজনকে হাসপাতালে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিডিও জানান, রাস্তা সংস্কারের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। গ্রামবাসীদের অবশ্য বক্তব্য, যে টাকা বরাদ্দ হয়েছেও তাতে পূর্নাঙ্গ সংস্কার হবে না।

diamond harbour mla
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy