Advertisement
E-Paper

বৌমাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ধৃত শাশুড়ি

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার কোনিয়ারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম টিকু দাস ওরফে রাশি (২৭)। বৌমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার রাতে বাগদা থানার পুলিশ মহিলার নমিতা দাস নামে রাশির শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০১
আদালতে আনা হচ্ছে নমিতাকে।—নিজস্ব চিত্র।

আদালতে আনা হচ্ছে নমিতাকে।—নিজস্ব চিত্র।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার কোনিয়ারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম টিকু দাস ওরফে রাশি (২৭)।

বৌমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার রাতে বাগদা থানার পুলিশ মহিলার নমিতা দাস নামে রাশির শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন’বছর আগে তাপস দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কোনিয়ারার বাসিন্দা রাশির। তাঁদের তিনটি সন্তান। মালিপোতায় তাপসের একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। নানা কারণে ওই পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাশি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাপসও অগ্নিদগ্ধ হন। রাশিকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চিকিত্‌সকেরা তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। তাপস আপাতত পুলিশি প্রহরায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময়ে রাস্তাতেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানেই দু’জনের বচসা বাধে। পরে তাপস পাড়ায় ভলিবল খেলতে চলে যান। সেখান থেকে ফিরে স্ত্রীকে ডিম ভাজতে বলে শুয়ে পড়েন। হঠাত্‌ গায়ে গরম তাপ লেগে ঘুম ভেঙে যায়। তাপস বলেন, “স্ত্রীকে আগুনে পুড়তে দেখে ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। আগুনে আমিও কিছুটা পুড়ে যাই।” মহিলার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, জামাই ও তার মা রাশির উপরে নিয়মিত নির্যাতন চালাত। সেই অত্যাচারেই মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। মেয়ের শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের করেন রাশির বাবা নগেন দাস।

ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল শাসন থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছির উলা গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম মিরাজুল ইসলাম। অভিযোগ, মিরাজুল দাদপুরের এক যুবতীর সঙ্গে সে সম্পর্ক পাতায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছ’বছর ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে আর বিয়েতে রাজি হয়নি। যুবতীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মিরাজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী দু’জনেরই বৃহস্পতিবার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানানো হয়েছে।

suicide daughter-in-law mother-in-law bagda incitement southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy