রাস্তা সারানোর দাবিতে রাস্তা কেটে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে।
এই ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে যাওয়া প্রধান রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। পাথর, ইট উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সে কারণে রাস্তা যতক্ষণ না সারানো হবে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানান এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে পুর চেয়ারম্যান সমীর দত্ত বলেন, “রাস্তাটির সংস্কারের কাজ চলছে। কিছুটা পিছন থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। বিরোধীরা উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে উসকে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করতে চাইছেন। এতে লাভ হবে না। পুরভোটে উন্নয়ন দেখেই মানুষ আমাদের ভোট দেবেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে এলাকাটি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে ছিল। তারপর পুরসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়। বছর পনেরো আগে রাস্তাটিতে পিচ পড়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর সংস্কার হয়নি। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে জুলফিকার মোল্লা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই সব পুর কর্তৃপক্ষের কাছেই আমরা আবেদন করেছি। কিন্তু কাজ কিছু হয়নি।” মাস ছ’য়েক আগে পুর চেয়ারম্যান সমীর দত্তের কাছে এলাকার মানুষ স্মারকলিপি জমা দেন। তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে জানান জুলফিকার। কিন্তু এখনও সমস্যা মেটেনি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুরসভায় যোগাযোগ করলে বলা হয়েছে চিত্তবাবুর সঙ্গে কথা বলুন। চিত্তবাবুর কাছে গেলে তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান করছেন না। পুরসভাটি তৃণমূলের দখলে। আমি বিরোধী দলনেতা মাত্র।”
২০১০ সালের পুরসভা ভোটে ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২০টি। সিপিএম পায় দুটি। তবে চিত্তবাবু এলাকার মানুষের দাবির সঙ্গে একমত। তাঁর কথায়, “পুরসভায় বোর্ড মিটিংয়ে রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়টি পাশ হয়েছে। অর্থ অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান রাস্তাটির ওই অংশ সংস্কার না করে উল্টো দিকে কাজ করছেন। আমাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি।” বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অশোকনগর রেল স্টেশনের কাছ থেকে শুরু হয়ে রাস্তাটি মোল্লাপাড়া, সর্দারপাড়া, আদিবাসীপাড়া ও শক্তিনগরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। শক্তিনগর এলাকায় ঢালাই রাস্তার কাজ চলছে এবং রাস্তার কাজ মোল্লাপাড়া পর্যন্ত চলবে বলে বাসিন্দাদের জানানো হয়। তাঁদের কথায়, “মঙ্গলবার আমারা জানতে পারি রাস্তা শক্তিনগড় পর্যন্তই হবে। এ দিকে আসবে না। সে কারণে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” বুধবার পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা প্রস্তাব দিয়েছেন আপাতত ইট, ঝামা ফেলা হবে। বাসিন্দারা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। তাঁরা চান দ্রুত রাস্তার সংস্কার। প্রয়োজনে তারা ভোটও বয়কট করবেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy