Advertisement
E-Paper

লটারি পাওয়ার আনন্দে রাতভর মদ্যপান, টাকা উদ্ধার করল পুলিশ

লটারিতে প্রায় লাখখানেক টাকা জেতার আনন্দে যশোহর রোডের ধারেই সঙ্গী জুটিয়ে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত মদ খাচ্ছিলেন এক জন। বাড়ি ফেরার কথা আর মনেই ছিল না। পাশে পড়েছিল টাকার ব্যাগ। নজর পড়ে হাবরা থানার টহলদারি পুলিশের। দু’জনকেই থানায় নিয়ে যায় তারা। পরের দিন সকালে খবর দেওয়া হয় তার স্ত্রীকে। তার হাতেই লটারির টাকা তুলে দেয় পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৪ ০০:২৮

লটারিতে প্রায় লাখখানেক টাকা জেতার আনন্দে যশোহর রোডের ধারেই সঙ্গী জুটিয়ে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত মদ খাচ্ছিলেন এক জন। বাড়ি ফেরার কথা আর মনেই ছিল না। পাশে পড়েছিল টাকার ব্যাগ। নজর পড়ে হাবরা থানার টহলদারি পুলিশের। দু’জনকেই থানায় নিয়ে যায় তারা। পরের দিন সকালে খবর দেওয়া হয় তার স্ত্রীকে। তার হাতেই লটারির টাকা তুলে দেয় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় গাড়ি চালক ওই ব্যক্তির সংসারে স্বচ্ছ্বলতা তেমন নেই। হঠাৎ এত টাকা পেয়ে গিয়ে তার আর মাথার ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। ভেবেছিলেন, অনেক দিন দামি মদ খাওয়া হয়নি। তাই মদ খেয়েই একটু ফুর্তি করবেন।

যেমন ভাবা, তেমন কাজ। আর এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে যশোহর রোডের ধারে বসেই শুরু করেন মদ্যপান। নেশা চড়ে। রাত ১২টার পরে হাবরা থানার পুলিশ ভ্যান যখন এলাকায় টহল দিচ্ছিল, তখনই দেখা যায় ওই দু’জনকে। তাদের গাড়িতে তোলা হয়। পাশে পড়ে থাকা ব্যাগটিও নেন পুলিশ কর্মীরা।

থানায় এনে প্রথমেই হাজতে ঢোকানো হয় ওই দু’জনকে। ব্যাগ খুলতে ডিউটি অফিসার হতবাক হয়ে যান। ভাবেন, চুরি, ছিনতাই করেছে ওই দু’জন। খবর দেওয়া হয় থানার ওসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যয়কে। জেরায় ওই ব্যক্তি জানান লটারি পাওয়ার কথা। বিশ্বাস হয়নি মৈনাকবাবুর। সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ নেন লটারির দোকানে। সন্দেহের অবসান হয়।

মঙ্গলবার সকালে খবর পাঠানো হয় ওই ব্যক্তির বাড়িতে। থানায় আসেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। স্বামীকে সেখানে দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন তিনি।

স্ত্রী জানান, স্বামী এমনিতে মদ খান না। তবে এ দিন হয় তো ঝোঁকের মাথায় খেয়ে ফেলেছিলেন। ব্যক্তিগত জামিনে দু’জনকেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন এক জনের হাতে টাকা দেওয়া ঠিক হবে না মনে করে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেই টাকাটা দিয়ে দেন তিনি। তার মাধ্যমেই ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। হাবরা পুলিশের এই কাজের প্রশংসা করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘হাবরা থানার পুলিশ দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছে।”

এ দিনের ঘটনার পরে ওই মহিলা বলছেন, “এত দিন অন্যের গাড়ি চালাত। এই টাকা দিয়ে এ বার ওকে একটা নতুন গাড়ি কিনে দেব। পুলিশকে ধন্যবাদ। ওদের জন্যই এটা সম্ভব হল।”

lottery intake of liquor southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy