Advertisement
১০ মে ২০২৪

শাশুড়িকে খুনে অভিযুক্ত বৌমা গ্রেফতার দেগঙ্গায়

শাশুড়িকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠলো বৌমার বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার পোলতারআটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অমেলা বিবি (৬৫)। তাঁকে খুনের অভিযোগে বৌমা খাদিজা বিবিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই মহিলাকে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৪
Share: Save:

শাশুড়িকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠলো বৌমার বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার পোলতারআটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অমেলা বিবি (৬৫)। তাঁকে খুনের অভিযোগে বৌমা খাদিজা বিবিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই মহিলাকে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অমেলার দাদা আব্দুল কাদের মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবু তালেব মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী অমেলার দুই ছেলে, রুহুল এবং নুরুল। রুহুলের স্ত্রী খাদিজার দাপট এতটাই যে, তার দুই ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকে। কর্মসূত্রে রুহুল কলকাতায় থাকে। নুরুলও তাঁর বৌদির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকতে বাধ্য হয়েছেন। বছর দশেক আগে স্বামীর মৃত্যুর পরে বৃদ্ধা অমেলার উপরে খাদিজা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে গ্রামের মানুষের অভিযোগ। ফলে নিজের বাড়ি ছেড়ে প্রায়ই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ঘুরে দিন কাটাতেন বৃদ্ধা। এ বিষয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা অনেকবার খাদিজাকে সাবঝান করলেও ওই মহিলার কটূ কথার সামনে বিশেষ সুবিধা করে উছতে পারতেন না কেউই।

সম্প্রতি ওই বৃদ্ধা গিয়েছিলেন বাদুড়িয়ার নোয়াপাড়া গ্রামে বাপের বাড়িতে। গত বুধবার সেখান থেকে ফিরে বৌমার হাতে নিগৃহীত হন। বাড়িতে শাশুড়িকে আর থাকতে দিতেই চাইছিল না খাদিজা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ খাদিজার চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে। তাঁরা এসে দেখেন, মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন অমেলা। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে খাদিজা বলে, ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছেন শাশুড়ি।

খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হন অমেলার দাদা, ভাইপো-সহ আত্মীয়-স্বজনেরা। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, খেয়াল করে দেখা যায়, অমেলার একটি কানের দুল ছেঁড়া এবং গলায় নখের ক্ষতচিহ্ন। সন্দেহ হওয়ায় খাদিজাকে প্রশ্ন করলে সে অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে। এরপরেই শুরু হয় মারধর। নিহত বৃদ্ধার ভাইপো ফিরোজ সাহাজি বলেন, “দু’চার ঘা পড়তেই খাদিজা বলে, ঝগড়া করার সময়ে হঠাৎ শাশুড়ির গলা টিপে ধরেছিল সে।” খুনের খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় খাদিজাকে। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়ে সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

কারখানা খোলার দাবি। জেলা জুড়ে বন্ধ কলকারখানা খোলার দাবি-সহ মোট নয় দফা দাবিতে বাম সমর্থিত টিইউসিসির অসংগঠিত শ্রমিক ও কৃষকেরা মিছিলে সামিল হলেন। শুক্রবার বিকালে ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানির পলতাঘাট থেকে মিছিল শুরু হয়ে জিটি রোড ধরে চুঁচুড়ার খাদিনামোড়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বন্ধ কলকারখানার কয়েকশো শ্রমিক। তাঁদের প্রধান দাবি, অবিলম্বে বন্ধ কলকারকানা খুলতে সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে এবং শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমিতে কারখানা নির্মাণ করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

deganga murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE