রায়দিঘিতে চার জনের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ধৃত সিপিএম নেতা বিমল ভাণ্ডারীর স্ত্রী যমুনাদেবী। রায়দিঘি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএমের শিক্ষক-নেতা বিমলবাবুকে। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, ওই ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিমলবাবুর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের শীর্ষ নেতাদের চাপে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারছে না। শাসক দলের চাপেই ঘটনার কয়েক দিন পরে বিমলবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যমুনাদেবীর আরও দাবি, তাঁর স্বামী ৬৫% শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি ওই ঘটনায় কোনও ভাবেই যুক্ত নন। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পরে বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিনে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের পাশে বসে যমুনাদেবী বলেন, “সাজানো মামলায় পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। যথার্থ তদন্তের জন্য আমি সিবিআই চাই।”
সূর্যবাবু এ দিন বলেন, “তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন হচ্ছে। পাড়ুইতে হয়েছে। রায়দিঘিতেও হয়েছে। অথচ মিথ্যা মামলায় সিপিএম কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে!” যমুনাদেবীর পাশে বসেই এ দিন কান্তিবাবুর দাবি, “ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। পুলিশ মিথ্যা মামলা করেছে।” ক্ষমতা থাকলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করুক উচ্চ কণ্ঠে এ কথা জানিয়ে কান্তিবাবু বলেন, “আমি আগাম জামিনের আবেদন করব না। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণও করব না!” কান্তিবাবুকে গ্রেফতার করা হলে ফল ভাল হবে না, এ দিন ফের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
যমুনাদেবী জানান, এফআইআর যিনি লেখেন, সেই সুমন মাইতি ওই ঘটনার পরে একাধিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই এই নামগুলি লেখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের দল বিমলবাবুকে নিয়ে বাড়িতে এসে তাঁর হাতে রিভলভার ধরিয়ে হাতের ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করে। বিমলবাবু এর প্রতিবাদ করেন।