Advertisement
E-Paper

সরিফা বিবিদের সভায় হাজির ফুটবলার দীপেন্দু

“নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিল রাজ্য সরকার। ওঁদের আর্থিক সাহায্যে আমরা আর্থিক স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পেলাম।” সদ্য পাওয়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক হাতে কথা ক’টি বলে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন সরিফা বিবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৯
মহিলাদের হাতে সাহায্য তুলে দিচ্ছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ছবি: নির্মল বসু।

মহিলাদের হাতে সাহায্য তুলে দিচ্ছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ছবি: নির্মল বসু।

“নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিল রাজ্য সরকার। ওঁদের আর্থিক সাহায্যে আমরা আর্থিক স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পেলাম।” সদ্য পাওয়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক হাতে কথা ক’টি বলে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন সরিফা বিবি।

‘কোকোনাট’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১১ জন মহিলার এক জন সরিফা। চরম অভাবের মধ্যেও মেয়ে কোহিনুর এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। মাছের খাবার আনার কাজ করে ছেলে নুর ইসলাম। সরিফা এবং তাঁর সঙ্গী সেরিনা, সালমাদের কথায়, “আমরা অত্যন্ত গরিব। অর্থ সংস্থানের জন্য কেউ বিড়ি বাঁধি, কেউ চিংড়ি মাছের মাথা ছাড়াই। সরকারি আর্থিক সাহায্য মেলায় এবার থেকে আমরা নিজেরাই ব্যবসা করার সুযোগ পাব। সেলাইয়ের কাজ করে দেড় বছরের মধ্যেই সরকারের অর্থ শোধ করে দেব। তা হলে আরও বেশি অর্থ মিলবে।”

বসিরহাটের উনিশ নম্বর ওয়ার্ডের নেওরা দিঘির পাশে নেতাজী পাঠশালা। সেখানে বটগাছের ছায়ায় মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হয়েছিল মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ব্যবসা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সংক্ষ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্তনিগম-এর ঋণ দান অনুষ্ঠান হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন বিত্তনিগমের ফিল্ড সুপারভাইজার সোয়েদ আয়ুব আলি, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা প্রখ্যাত ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, বসিরহাট পুরসভার পুরপ্রধান আতসী আন, বিভুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, সালেমা বিবি, শিবু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবীর সরকার, ইলিয়াস সর্দার প্রমুখ। দীপেন্দু বলেন, “কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মত মহিলাদের স্বনির্ভর করার এই যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাতে বহু মহিলা উপকৃত হবেন। তাঁরা জীবিকার নিশ্চয়তা পাবেন। নিজেরা ছোটখাটো ব্যবসা, কিংবা হাতের কাজ করে আর্থিক সুবিধা পেতে পারবেন।”

বিত্তনিগমের আধিকারিক সোয়েদ আয়ুব বলেন, “এই প্রকল্পে আশি শতাংশ মহিলা সংখ্যালঘু। বাকি সাধারণ মহিলারাও সুবিধা পাবেন। এ দিন ২৭টি গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে ঋণ বাবদ মোট ৪০ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। ১৮ মাসের মধ্যে ঋণ শোধ করলে আবার দ্বিগুণ অর্থ দেওয়া হবে।” সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের শেষে ‘একতা’ গোষ্ঠীর রূপালি সরকার এবং ‘মা মাটি মানুষ’ গোষ্ঠীর নুরজাহান খাতুন বলেন, “লক্ষাধিক টাকা হাতে পাওয়ায় এ বার থেকে পোশাক সেলাই করে নিজেরা একটা উপার্জনের পথ পেলাম। দিদি মহিলাদের এই যে সুযোগ করে দিলেন তাতে আমরা গর্বিত।”

self help group dipendu biswas basirhat southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy