Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আরজিকরের পথেই প্রাণ গেল ৩ জনের

দেগঙ্গার বোড়ামারি পূর্বপাড়ার ফতেমা বিবির (৩৭) জ্বর এসেছিল দিন তিনেক আগে। বারাসতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট ও দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৩
Share: Save:

কোন পথে রোখা যাবে মৃত্যু, জানে না কেউ। স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে প্রায়শই। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুরাহা হবে, এই ধারণা থেকে তাঁদের পাঠানো হচ্ছে আরজিকরে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যাচ্ছেন অনেকে। মঙ্গল ও বুধবার দেগঙ্গা ও বাদুড়য়ার ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাবেই।

দেগঙ্গার বোড়ামারি পূর্বপাড়ার ফতেমা বিবির (৩৭) জ্বর এসেছিল দিন তিনেক আগে। বারাসতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বুধবার দুপুরে অবস্থার অবনতি হলে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ফতেমার। এই নিয়ে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের বোড়ামারি গ্রামে তিন মহিলার মৃত্যু হল। এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছিল।

বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বুধবার কলকাতায় স্থানান্তরিত করার সময়ে মারা গিয়েছেন মলেয়াপুর গ্রামের গোলাম মোস্তাফা বিশ্বাসও (৪৪)। মঙ্গলবার রাতে বাদুড়িয়ার মাসিয়া গ্রামে বাড়ি খাদেকা বিবিও (৫০) জ্বরে ভুগে মারা গিয়েছেন।

দু’টি ক্ষেত্রেই মৃত্যু ডেঙ্গিতে বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। যদিও সে কথা মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। কারণ যা-ই হোক, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বসিরহাট মহকুমায় এই নিয়ে মারা গেলেন প্রায় ৩৫ জন।

বুধবার মলেয়াপুরে যান স্থানীয় বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলু। তিনি বলেন, ‘‘একের পর এক ডেঙ্গিতে মৃত্যু ঘটছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর নানা ভাবে তা এড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে ডেঙ্গির সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE