নিখোঁজদের সন্ধানে জারি তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।
স্নান করতে নেমে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের চার নম্বর বিচুলিঘাট এলাকা থেকে গঙ্গায় নিখোঁজ হয়েছিল চার কিশোর। বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর জগদ্দল থেকেই উদ্ধার হল দু’জনের দেহ। বাকি দু’জনের সন্ধান চলছে।
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ জগদ্দলের চার নম্বর বিচুলিঘাট এলাকায় গঙ্গাস্নানে নেমেছিল চার কিশোর। তারা সকলেই ভাটপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জগদ্দল স্টেশন সংলগ্ন পূর্বাশা রেল কলোনির বাসিন্দা। তলিয়ে যাওয়া কিশোররা হল শম্ভু রাম, জিতু চৌধরী, সৌরভ প্রসাদ এবং গৌতম প্রসাদ। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১১ থেকে ১৫-র মধ্যে। চার জনই গঙ্গার স্রোতে তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও। শুরু হয় তল্লাশি। মঙ্গলবার রাতের দিকেই শম্ভু এবং সৌরভের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই খবরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। পুলিশ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এ ছাড়াও নিখোঁজ থাকা আরও দু’জনের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার উত্তর ২৪ পরগনারই ব্যারাকপুরের দু’পয়সা ঘাট থেকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সোমবার যে চার কিশোর গঙ্গাবক্ষে নিখোঁজ হয়েছিল তাদের মধ্যে এক জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে দু’পয়সার ঘাট থেকে। দেহটি শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। আরও এক জনের খোঁজ চালাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। গঙ্গাবক্ষে স্পিডবোটে চড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যত সময় গড়াচ্ছে তত আশঙ্কাও বাড়ছে নিখোঁজ কিশোরকে নিয়ে।
জগদ্দলের মতো, সোমবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় সুন্দরপুর এলাকার সদাশিব ঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় জইদুল ইসলাম নামে এক কিশোর। সে জলঙ্গির বাসিন্দা। মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধার হয় কদমতলা ঘাট এলাকা থেকে। মৃত জইদুল প্রায় দু’মাস সুন্দরপুর এলাকার তার বন্ধু বাড়িতে বাস করছিল। সোমবার বাড়ি ফেরার আগে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েয়েছিল সে। এর পরই ঘটে বিপত্তি। স্রোতে তলিয়ে যায় সে। প্রাথমিক ভাবে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে তার দেহ পাওয়া যায়। ভগবানগোলা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy