Advertisement
E-Paper

চুঁচুড়ার ধানখেতে উদ্ধার চারটি দেহ, গ্রেফতার ২

ধানখেতের পাশে নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার হল চার যুবকের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার ভোরে চুঁচুড়ার কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সিমলা অঞ্চলে উদ্ধার দেহগুলির কোনও পরিচয় রাত পর্যন্ত জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৩২
মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: তাপস ঘোষ।

মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: তাপস ঘোষ।

ধানখেতের পাশে নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার হল চার যুবকের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার ভোরে চুঁচুড়ার কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সিমলা অঞ্চলে উদ্ধার দেহগুলির কোনও পরিচয় রাত পর্যন্ত জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কালো এবং আকাশ নামে স্থানীয় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হুগলির পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ধৃতেরা দোষ কবুল করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মৃতদেহগুলি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি একসঙ্গে কাপড়ের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। এরকম দড়ি সাধারণত প্যান্ডেল বাঁধার কাজে ব্যবহার করা হয়। মৃতদেহগুলি মোড়া ছিল লেপ দিয়ে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ২৫ থেকে ৩০ বছরের ওই চার যুবককে দড়ির ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। খুনের পর গাড়িতে করে দেহগুলি ওই নির্জন জায়গায় ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন। নিহতেরা সম্ভবত চুঁচুড়া থানা এলাকারই বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, যেখানে দেহগুলি পড়েছিল তার পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা চন্দননগরে পৌঁছনো যায়। বুধবার জগদ্বাত্রী পুজোর নবমী থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত লোকজন চলাচল করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, ভোরের দিকে লোকজন কম থাকার সুযোগে দেহগুলি ফেলে যায় আততায়ীরা।

গত ক’মাসে চুঁচুড়া, চন্দননগরের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে পর পর খুনের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যান্ডেলের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ৯ অক্টোবর পোলবার পাঁচরকি থেকে চুঁচুড়ার কারবালা এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২১ জুলাই চুঁচুড়ার কাপাসডাঙা অঞ্চলে একদল দুষ্কৃতী এক যুবককে খুন করে চম্পট দেয়। এই জাতীয় অপরাধ বেড়ে চলায় ওই সময় সরব হয়েছিলেন স্থানীয় মানু‌ষ। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরে উত্তেজিত জনতার মারে মৃত্যু হয়েছিল এক দুষ্কৃতী এবং তার মায়ের। চারজনের খুনের ঘটনায় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল।

Accused arrested Body recovered
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy