বোলপুর মহকুমা আদালতে ধৃতেরা।—নিজস্ব চিত্র।
অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নেমে গুলি করে খুন-কাণ্ডে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবারের ওই খুনের ঘটনায় কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজের ভাই কাজল শেখ-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নিহত কুরবান শেখের বাবা জিলাই শেখ। তার পরেই ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কারও নামই ওই এফআইআর-এ ছিল না।
ধৃতদের মধ্যে এক জন পাপুড়ির বাসিন্দা। বাকি চার জনের বাড়ি বোলপুর থানা এলাকার বড় শিমুলিয়া এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতদের বোলপুর আদালতে হাজির করা হয়। সাত দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানান এই মামলার তদন্তকারী অফিসার। আদালত ধৃতদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিন সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, “ধৃতদের মধ্যে শেখ নিদারুল, শেখ হাকিম, শেখ ইদবক্স এবং রফিকুল শেখের বাড়ি বোলপুর থানার বড় শিমুলিয়া এলাকায়। অন্য এক ধৃত নাফেজ খানের বাড়ি নানুর থানার পাপুড়ি এলাকায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ এবং অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারক ধৃতদের চার দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।”
সোমবার বিকেলে কুরবান শেখ, মতুর্জা শেখ ও বুড়ো শেখ একটি স্কুটিতে চড়ে বোলপুর-পালিতপুর সড়ক ধরে বোলপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে বাহিরী এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই বোলপুরের দিকে রওনা দেয় চারকলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুল্যান্স। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বাহিরী নিমতলা বাসস্টপের কিছুটা আগে একটি নির্জন এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে স্কুটিতে। অ্যাম্বুল্যান্সের তলায় ঢু়কে যায় স্কুটির অনেকটা অংশ। কুরবান-সহ তিন আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়লে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে আততায়ীরা নেমে তাঁদের গুলি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy