Advertisement
E-Paper

রোগীর হয়রানি কমাতে ৫০ শয্যার করোনা-ওয়ার্ড

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দিনে গড়ে ১৫ জন আক্রান্ত মিলছে এই হাসপাতালে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ৪১ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩২
কালনা হাসপাতালের এই ভবনেই হবে করোনা-ওয়ার্ড। নিজস্ব চিত্র

কালনা হাসপাতালের এই ভবনেই হবে করোনা-ওয়ার্ড। নিজস্ব চিত্র

লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫০ শয্যার করোনা-ওয়ার্ড গড়তে উদ্যোগী হয়েছে কালনা হাসপাতাল। তার মধ্যে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে’ (সিসিইউ) থাকবে ১০টি শয্যা। এসিএমওএইচ (কালনা) চিত্তরঞ্জন দাস জানান, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জেলার পরিকাঠামোয় চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অন্য অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বহু রোগীকে পরীক্ষা করেও করোনা সংক্রমণ মিলছে। তাঁদের আলাদা রেখে, চিকিৎসার প্রয়োজন হচ্ছে। এই পরস্থিতিতে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ৫০টি শয্যা তৈরি হলে চাপ কিছুটা কমবে। ব্লক হাসপাতালগুলিকেও তাদের পরিকাঠামো অনুযায়ী, কিছু কিছু ‘আইসোলেশন বেড’ রাখার কথা বলা হয়েছে, জানান তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দিনে গড়ে ১৫ জন আক্রান্ত মিলছে এই হাসপাতালে। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ৪১ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। তার মধ্যে ১০ জন ‘করোনা পজ়িটিভ’। চিকিৎসকদের ধারণা, ভোট প্রচারের সভা, মিটিং, মিছিলে যে ভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের জমায়েত হয়েছিল তাতে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও বহু মানুষ মাস্ক ছাড়া, অবাধে হাট-বাজারে, জনবহুল জায়গায় ঘুরছেন। তাতেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, দাবি তাঁদের। চিকিৎসকদের দাবি, এখনও পর্যন্ত এই মহকুমার করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে এবং যে সব উপসর্গহীন আক্রান্তদের বাড়িতে আলাদা থাকার জায়গা নেই, তাঁদের বর্ধমানে পাঠানো হচ্ছিল। ৬০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদরে পৌঁছতে এক দিকে যেমন রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা হয়রানির শিকার হন, তেমনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চাপ পড়তে শুরু করেছে জেলার পরিকাঠামোয়।

এই অবস্থায় করোনা আক্রান্তদের জন্য ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করছে কালনা হাসপাতাল। বুধবার স্বাস্থ্য-কর্তাদের একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লাড ব্যাঙ্কের পাশে চালু না হওয়া একটি শিশু-ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানেই পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পরিকল্পনাও পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিটি শয্যায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে যাতে অক্সিজেন পৌঁছয় সেই ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। সিসিইউতে থাকবে ভেন্টিলেটার এবং
অক্সিজেনের ব্যবস্থা।

মহকুমা হাসপাতালের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘যে সংস্থাটি কাজ করবে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়েছে। দ্রুত করোনা-ওয়ার্ড চালু করা হবে। খুব জটিল পরিস্থিতি না হলে, আক্রান্তদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে না।’’ তবে চিকিৎসা পরিকাঠামোর সঙ্গে মানুষের সচেতন হওয়াটাও সমান জরুরি, দাবি তাঁর। কারণ, সংক্রমণে রাশ না টানা গেলে একটা সময়ে পরিকাঠামোর অভাব হবেই, আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

Bardhaman COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy