প্রতীকী ছবি।
দিল্লি ও মুম্বই থেকে কলকাতায় বুধবারের সরাসরি উড়ানের উপরে যে-নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে সবে মঙ্গলবার। এত কম সময়ের মধ্যে সূচি বদলে এ দিন উড়ান চালাতে পারেনি অনেক সংস্থাই। ফলে বুধবার কলকাতা থেকে দিল্লি ও মুম্বই রুটে যাতায়াত মিলিয়ে প্রায় ৬০টি উড়ান বাতিল করতে হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এখন সাধারণ দিনে শহর থেকে কমবেশি ১৮০টি উড়ান যায়। প্রায় সমসংখ্যক উড়ান এসে নামে। এ দিন সব মিলিয়ে ৩০০ উড়ান ওঠানামা করেছে। চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। যাঁদের টিকিট কাটা আছে, তাঁরা কবে যেতে পারবেন, তা জানতে অনেকে ভিড় জমিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজারের ঘরে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে আপাতত দিল্লি ও মুম্বই থেকে সপ্তাহে তিন দিন উড়ান আসবে কলকাতায়। সোম, বুধ ও শুক্র— ওই তিন দিন ছাড়া বাকি চার দিন ওই দুই শহর থেকে কোনও উড়ান কলকাতায় নামবে না। তবে কলকাতা থেকে ওই দুই শহরে সপ্তাহের সাত দিনই উড়ান যাবে। বিভ্রান্তির কারণ মূলত এটাই।
এয়ার ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, যে-তিন দিন (সোম, বুধ ও শুক্র) তারা দিল্লি ও মুম্বই থেকে কলকাতায় আসতে পারবে, সেই তিন দিনই ফিরতি উড়ানে এই শহর থেকে যাত্রী নিয়ে যাবে। বাকি চার দিন তারা কোনও পিঠেই উড়ান চালাবে না। তবে নির্ধারিত তিন দিন তুলনায় বড় বিমান চালাবে, যাতে বেশি যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করা যায়।
কলকাতা থেকে সব চেয়ে বেশি উড়ান চালায় ইন্ডিগো। সাধারণত দিনে তাদের কলকাতা থেকে ন’টি উড়ান এখন দিল্লি যাচ্ছে। তাদের এক কর্তা জানান, সোম, বুধ ও শুক্রবারের উড়ান নিয়ে তো কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সপ্তাহে বাকি চার দিনও তাঁরা কলকাতা থেকে দিল্লি ও মুম্বই রুটে এক পিঠের উড়ান চালাবেন। তবে কমিয়ে দেওয়া হবে উড়ানের সংখ্যা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাকি চার দিন ন’টির বদলে ছ’টি উড়ান যাবে। কলকাতা থেকে মুম্বই রুটে তাঁরা দিনে পাঁচটি উড়ান চালান। সে-ক্ষেত্রেও সপ্তাহে বাকি চার দিন উড়ানের সংখ্যা কমিয়ে তিন করা হবে বলে সূত্রের খবর। ওই কর্তা বলেন, “একাধিক উড়ানের যাত্রীদের একত্র করে একটি উড়ানে পাঠানো হবে। যাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতি না-হয়।”
স্পাইসজেটের এক কর্তা জানান, যে-চার দিন বিধিনিষেধ রয়েছে, সেই চার দিন দিল্লি ও মুম্বই থেকে জয়পুর, গুয়াহাটি, পটনা, ভুবনেশ্বর ঘুরিয়ে যাত্রীদের কলকাতায় আনা হবে। আর কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তো কোনও বারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy