E-Paper

বাংলাদেশে ফেরার পথে ধৃত ছয়, অন্যত্র আরও ১

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদিয়ার ধানতলা, হাঁসখালি এবং গাংনাপুর থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। সে সময়ে দুই মহিলা-সহ তিন জন ধরা পড়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:১৪
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

যত ধরপাকড় চলছে, ততই বাংলাদেশ থেকে সদ্য আসা লোকজনের সঙ্গে পুরনো অনুপ্রবেশকারীরাও ধরা পড়ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে যে সাত জন ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ছ’জনই নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিল। আর এক জন দক্ষিণ দিনাজপুরে লুকিয়েছিল। নদিয়া থেকে তিন দালালও ধরা পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ধৃত এক আশ্রয়দাতা।

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদিয়ার ধানতলা, হাঁসখালি এবং গাংনাপুর থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। সে সময়ে দুই মহিলা-সহ তিন জন ধরা পড়ে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা বাংলাদেশের চুয়াডাঙা জেলার বাসিন্দা। হাঁসখালি থানার মালসাদহ থেকে শীলবেড়িয়া সীমান্ত এলাকার দিকে যাওয়ার পথে তাদের ধরা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই তিন জন বেশ কয়েক মাস আগে রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে, দিল্লিতে চলে যায়। সেখানে কাজ করছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীর সন্ধানে সম্প্রতি ধরপাকড় শুরু হওয়ায় তারা দালাল ধরে নিজেদের দেশে ফিরছিল। তাদের সঙ্গে এক দালালও ধরা পড়েছে, তার বাড়ি ধানতলা থানার দত্তপুলিয়ায়। ধানতলা ও গাংনাপুর থানা এলাকার দুই দালালকেও ধরা হয়েছে। বুধবার রাতে ধানতলা থেকেই ১০ জন বাংলাদেশি এবং পাঁচ দালালকে ধরা হয়েছিল। শুক্রবার রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে তিন বাংলাদেশিকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এক দালালকে দু’দিন এবং বাকি দু’জনকে ছ’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুর্শিদাবাদে যে তিন জন ধরা পড়েছে, তারা চেন্নাইয়ে কাজ করছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করলে জলঙ্গি থানা এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের ধরে। ধৃতদের বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি থানা এলাকায়। এ দিন বহরমপুর আদালত তাদের পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ-জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছে মোবাইল ও আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। আধার তারা কোথায় তৈরি করিয়েছে, পরিষ্কার নয়। তদন্ত হচ্ছে।’’

এ দিন বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোয়ালদার অঞ্চল থেকে পুলিশ এক বাংলাদেশিকে ধরে। ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পলিপাড়া গ্রামে। পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন আগেই সে ভারতে ঢুকেছে। গত আট দিন সে রাজুয়া গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। সে বাড়ির মালিকও গ্রেফতার হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, “ওই যুবক কী মতলবে ভারতে এসেছিল, কোন কোন এলাকায় কাটিয়েছে, দেখা হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest India-Bangladesh Border Bangladesh Unrest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy