লালবাজার জানায়, খোলা পাচারের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বছর দুয়েক আগে বড়বাজারের একটি গুদামে হানা দিয়ে ৭০০ কিলোগ্রাম পোস্তের খোলা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এ বার খাস কলকাতা থেকেই ৯৫৩ কিলোগ্রাম পোস্তের খোলা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। লালবাজার জানায়, এই খোলা পাচারের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তারা নেহাতই চুনোপুঁটি। এই পাচার চক্রের চাঁইয়েরা পলাতক।
পোস্তের খোলা জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল নেশা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই এই খোলা মাদকদ্রব্যের তালিকাভুক্ত। অবাধে তার কেনাবেচা চলে না। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিটি রোডে একটি ম্যাটাডোর ভ্যান আটক করেন গোয়েন্দারা। তাতে ৮৫৪ কিলোগ্রাম পোস্তখোলা ছিল। বেআইনি ভাবে ওই মাদকদ্রব্য নিয়ে আসার অভিযোগে ভ্যানচালক মুগলেসুর শেখ, খালাসি সত্য সাহা এবং খোলা পাচারের এজেন্ট মিঠুন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। মুগলেসুর এবং সত্য মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের বাসিন্দা। মিঠুনের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগরে।
ধৃতেরা পুলিশকে জানান, ধুলিয়ান থেকে ওই পোস্তখোলা ভ্যানে তোলা হয়েছিল। তা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল পোস্তা এলাকার একটি গুদামে। গোয়েন্দারা সেই গুদামে হানা দিয়ে আরও ৯৯ কিলোগ্রাম পোস্তখোলা বাজেয়াপ্ত করেন। গ্রেফতার করা হয় গুদামের দুই কর্মী সুলো সাউ এবং রামদয়াল সাউকে। গুদামের মালিক-সহ চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশি সূত্রের খবর, ১৯৮৫ সালে আফিম নিষিদ্ধ করার পরে তার বিকল্প হিসেবে পোস্তখোলা বিক্রির জন্য লাইসেন্স দিতে শুরু করে কেন্দ্র। তবে প্রত্যেক ব্যবসায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি পোস্তখোলা মজুত রাখতে পারেন না। পশ্চিমবঙ্গে এমন অন্তত ২০ জন ব্যবসায়ী লাইসেন্স নিয়ে পোস্তখোলার ব্যবসা করেন। পোস্তার ওই ব্যবসায়ীর সেই লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy