ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে দেওয়ের। সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই যুবকের বৌদি এবং তাঁর ১০ বছরের সন্তানকে ধরে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানার হারদার পাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম বলরাম দাস (৩২)। তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘর থেকে বলরামকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ এবং যুবকের দাদা-বৌদি বলরামকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে বলরামের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। বলরামের বৌদি অপর্ণা দাস এবং তাঁর ১০ বছরের ছেলেকে ঘর থেকে মারধর করেন তাঁরা। বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এলাকায় গন্ডগোলের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অপর্ণা বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাতে তাঁদের না জানিয়ে কেন বলরামকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে? এই কারণে আমাকে আর আমার বাচ্চাকে মারধর করল ওরা। বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।’’ তিনি এবং তাঁর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অপর্ণা। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
ন্যাজাট থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘যুবকের মৃত্যু এবং বৌদি-ভাইপোকে মারধর, দুটো বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’