মা মারা গিয়েছেন অন্তত পাঁচ দিন আগে। তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। আর পাশের ঘরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন ছেলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার বালটিকুরিতে। রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা দাসনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দাসনগর থানার অন্তর্গত বালটিকুরি খালধার পাড়ায় পম্পা নন্দী (৫০) এবং তাঁর ছেলে সুরজ নন্দী (২৫) একসঙ্গেই থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে কোভিডের সময় পম্পার স্বামী মারা যান। তার পর ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি। ছেলে অনলাইনে জিনিসপত্র ডেলিভারির ব্যবসা করলেও ইদানীং তিনি কিছুই করছিলেন না। প্রতিবেশীদের দাবি, সম্প্রতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন সুরজ। শুধু তা-ই নয়, মা-ছেলেকে পাড়ায় বিশেষ দেখাও যেত না। এমনকি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলতেন না তাঁরা। দিন সাতেক আগে সুরজকে শেষ বারের মতো পাড়ায় দেখা গিয়েছিল।
রবিবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বার হতে থাকে। তখনই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীরা স্থানীয় ক্লাবে খবর দেন। এর পর বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন পম্পা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর শরীর পচে গলে গিয়েছে। আর পাশের ঘরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দাসনগর থানায়।
পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ছেলেকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত পাঁচ দিন আগে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে এই মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।