বাতাসে ঠান্ডার আমেজ। ইকে পার্কে শিশুদের নিয়ে সাবধানি মা। ছবি: সুমন বল্লভ।
জেলাগুলিতে পারদ পতন আগেই শুরু হয়েছিল। ক’দিন ধরে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলিও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছে। শীত প্রায় এসে গিয়েছে ধরে নিয়ে সোয়েটার, মাফলারও আলমারি থেকে বেরিয়ে পড়েছে। এই আবহেও অবশ্য বাধ সাধছে বঙ্গোপসাগর। কারণ, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সেখানে ফের তৈরি হতে চলেছে একটি গভীর নিম্নচাপ। সেই গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না, এমন কথাও নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না আবহবিদেরা। তাঁদের মতে, ওই গভীর নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে এসে হাজির হয় তা হলে শীতের দফারফা হতে পারে।
শনিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আজ, রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। আগামিকাল, সোমবার সেটি নিম্নচাপের চেহারা নেবে। তার পরে সেটি উত্তর দিকে সরবে এবং আগামী বুধবার গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। এ দিন পর্যন্ত এতটুকুই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। আবহবিদদের একাংশের মতে, শীত পূর্ব ভারতে জাঁকিয়ে বসার আগে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। তবে নিয়ম অনুযায়ী, নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপ তৈরি না হলে সরকারি ভাবে মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, তা জানায় না।
আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, গভীর নিম্নচাপটি যেহেতু কয়েক দিন সাগরের উপরেই থাকবে তাই তার শক্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে তার গতিপথ বা অভিমুখ স্পষ্ট হয়নি। সেই কারণেই ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, কিংবা হলেও কোন দিকে ধেয়ে যাবে তা নিয়ে কিছু অস্পষ্টতা আছে। এমনও হতে পারে যে তামিলনাড়ু-অন্ধ্র উপকূলেই আছড়ে পড়ল সে। সে ক্ষেত্রে বঙ্গের শীতের উপরে তার প্রভাব কম পড়বে।
শীতপ্রত্যাশী বাঙালির কাছে আপাতত এটুকুই আশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy