প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব পার্থ কর্মকারের হাতে ভুয়ো সেই ‘কল লেটার’। আটক চাকরিপ্রার্থী প্রীতম ঘোষ (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে ভুয়ো কল লেটার নিয়ে গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক যুবক। শনিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে এক জনকে দেখে সন্দেহ হয় সেখানকার কর্মী সৌরভ ঘোষের। মূলত তাঁর তৎপরতাতেই আটক করা হয় ওই যুবককে। তাঁর সঙ্গে আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে, যাঁদের ওই যুবক আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব পার্থ কর্মকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই চাকরিপ্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, ওই নম্বরে অন্য জেলার অন্য এক চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন। সেই পরীক্ষার্থীর শনিবার ইন্টারভিউই ছিল না। তারপরই পর্ষদ ‘কল লেটার’টি যে ভুয়ো, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায়।
বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রীতম ঘোষ। এপিসি ভবনের কর্মী সৌরভ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিছু বিষয় লক্ষ করেই ওই যুবককে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়। ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে ওই যুবকের নাম ছিল না। এরপরেই পর্ষদের কর্তাদের বিষয়টি জানান সৌরভ। কর্তারা ওই যুবককে অ্যাডমিট কার্ড দেখাতে বললে, তিনি তার একটি প্রতিলিপি দেখান। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে এক আত্মীয় এসেছিলেন। তিনি জানান, আসল অ্যাডমিট কার্ডটি আর এক আত্মীয়ের কাছে আছে, যিনি বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।
পুলিশ প্রথমে প্রীতম নামের ওই যুবক এবং তাঁর আত্মীয়কে আটক করে। থানায় এই দু’জন দাবি করে, অপর আত্মীয় আসল অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে মোটা টাকা চাইছে। পরে পুলিশ ওই আত্মীয়কেও আটক করে। পুরো বিষয়টি বুঝতে ৩ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। আপাত ভাবে এটিকে একটি ভুয়ো এবং প্রতারণামূলক কাজ বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা।দুপুরের দিকে ৩ জনকেই গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy