Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Irregulerity in Assets of Bengal Political Leaders

Rupa Ganguly: শুভেন্দুর পর নড্ডা, রূপাদের সম্পত্তি নিয়েও হাই কোর্টে মামলা, জোড়া হল নির্বাচন কমিশনকে

কেন্দ্রীয় তিন মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানেরও নাম রয়েছে নতুন মামলায়। তালিকায় নতুন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীও।

মামলা হল জেপি নড্ডা-রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। — ফাইল চিত্র

মামলা হল জেপি নড্ডা-রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। — ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ১৭:১৫
Share: Save:

বাংলার রাজনৈতিক নেতাদের হিসাবহীন সম্পত্তিবৃদ্ধির মামলা চলছিলই। এ বার জাতীয় স্তরের নেতাদেরও সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা রুজু হল কলকাতা হাই কোর্টে।

নতুন মামলায় বাংলার ওই বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি জোড়া হয়েছে বিজেপির জাতীয়স্তরের নেতা জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের নাম। এ ছাড়া বাংলার বিরোধী দলের দুই নেতা-নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর নামও এই তালিকায় নব সংযোজন।

আদালতের কাছে এঁদের প্রত্যেকের সম্পত্তি বৃদ্ধির হিসাব খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আবেদন জানানো হয়েছে, হিসাব না মিললে যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়। এর আগেও বাংলার রাজনৈতিক নেতা এবং নেত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রথমে ১৯ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রী এবং তার পরে ১৫ জন বিরোধী এবং দু’জন তৃণমূল সাংসদের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল হাই কোর্টে। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্য তথা দেশের ২৪ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলা করার আর্জি জানানো হয়েছিল। তিনি অনুমতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাজ্যের নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাই কোর্টে ২০১৭ সালে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। দুই মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী সেই সময় তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কী ভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেল? সম্পত্তির খতিয়ান হিসাবে দেখানো হয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা। ২০১৭ সালে করা অনিন্দ্যসুন্দর এবং বিপ্লবের করা সেই মামলার সূত্রেই নতুন করে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ইডিকেও জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই অনিন্দ্যসুন্দরের পর আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেখানে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী-সহ বিরোধী দলের একাধিক ব্যক্তির নাম ছিল। অনিন্দ্যসুন্দরের সঙ্গে অরিজিতের মামলাটি তখনই জুড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE