শিলিগুড়িতে চলন্ত পুলকারে আগুন। চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৪ জন স্কুলপড়ুয়া।
শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ার একটি স্কুল থেকে ১৪ জন বাচ্চাকে নিয়ে ফিরছিল পুলকারটি। চম্পাসারির দেবীডাঙা এলাকায় হঠাৎই গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, হঠাৎ একটি বিকট আওয়াজ হয় গাড়িতে। কিছু হয়েছে বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামিয়ে দিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাচ্চাদের গাড়ি থেকে নামান চালক। বাচ্চাদের নামানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়িটি। বাচ্চাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান চালক।
এই ঘটনার খবর মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। পুলকারগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হয় না, এমন অভিযোগ তুলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে যায় প্রধাননগর থানার পুলিশ এবং দমকল। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “হঠাৎই গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। চালক বুদ্ধি করে বাচ্চাদের তড়িঘড়ি গাড়ি থেকে নামায়। বাচ্চাদের নামাতে নামাতেই পুরো গাড়িতে আগুন লেগে যায়।” গাড়ির চালক আক্রম বারা বলেন, “গাড়িতে ১৪ জন বাচ্চা নিয়ে বেরিয়েছিলাম। দেবীডাঙার কাছে পৌঁছোতেই ইঞ্জিনে একটা বিকট শব্দ হয়। তার পরেই আগুন ধরে যায়। তবে বাচ্চারা সবাই ঠিকঠাক আছে।” গাড়িচালকের প্রশংসা করে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ওঁর বুদ্ধির জন্যই আজ বাচ্চাগুলো রক্ষা পেয়েছে। চালক কিছু একটা বুঝতে পেরে বাচ্চাদের গাড়ি থেকে বার করে একটু দূরে নিয়ে যায়। তার পরেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আমরা দমকলে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নেভাতে নেমে পড়ি।”
আরও পড়ুন:
ঘটনাপ্রসঙ্গে এক পড়ুয়ার অভিভাবক রুনু সিংহ বলেন, “গাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। আমাদের মনের অবস্থা বলে বোঝাতে পারব না। শুনছি যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে গিয়েছে। বাচ্চারা ঠিকঠাক আছে দেখে খানিকটা শান্তি পেয়েছি।”
প্রধাননগর থানার আইসি বিডি সরকার বলেন , “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছোই। বাচ্চারা সুরক্ষিত রয়েছে। তবে গাড়িটি জ্বলে গিয়েছে। সেটা থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়, তা হলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। তবে ঘটনার একটি প্রাথমিক তদন্ত হচ্ছে।”