Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ছাত্রীর বিয়ে রুখলেন ভুক্তভোগী

সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে খবর পেয়ে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ-প্রশাসন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৫:১৯
Share: Save:

বছর পনেরো আগে স্কুলে পড়ার সময়েই ভিন্‌ রাজ্যের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তবে সংসার সাজানো হয়নি। পুণের যৌনপল্লিতে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। অনেক টানাপড়েনের পরে তিনি ফিরেছেন নিজের গ্রামে। দাঁড়াচ্ছেন মেয়েদের পাশে। নিজে উদ্যোগী হয়ে রুখে দিচ্ছেন নাবালিকার বিয়ে।

সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে খবর পেয়ে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ-প্রশাসন। নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর সেই উদ্ধার-কাণ্ডের নেপথ্যে মূল ভূমিকা পুণের যৌনপল্লি থেকে বেঁচে ফেরা আয়েশা (নাম পরিবর্তিত)।

কয়েক দিন আগে ফুলমালঞ্চ ওস্তাগর পাড়ার ওই নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়েই তার বাড়িতে ছুটেছিলেন আয়েশা। জানতে পারেন, ভিন্‌ রাজ্যের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে ওই ছাত্রীর। নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। ওই নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানান, নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে হয়েছিল তাঁরও। পাত্র ছিল ভিন্‌ রাজ্যের। কিন্তু বিয়ের পরেই তাঁকে পাচার করে দেওয়া হয়। পুণেতে প্রায় সাড়ে চার বছর যৌনকর্মীর কাজ করতে হয় তাঁকে। ২০১৬ সালে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। অনেক বাধা, অনেক লড়াইয়ের পরে নতুন জীবন পেয়েছেন তিনি। আয়েশা চান না, আর কোনও মেয়ের এই দশা হোক। কিন্তু তাঁর কথায় কান দেয়নি নাবালিকার পরিবার।

সোমবার তাই চাইল্ডলাইনের সাহায্য নিয়ে পুলিশে খবর দেন আয়েশা। বন্ধ হয় নাবালিকার বিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Child marriage Basanti
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE