প্রতীকী ছবি।
বিধানসভায় টিকিট চাই? কুছ পরোয়া নেহি।
মন জিততে প্রচার? হয়ে যাবে।
আর জয়? তাতেও গ্যারান্টি।
২০২১-এর ভোটে অনায়াস জয়ের এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতাদের দোরে দোরে যাচ্ছে এক সংস্থা। গোড়ায় চুক্তিতে লাগবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ভোট পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৫ লাখ। জেতার পরে আরও ২০ লক্ষ। হারলে কিন্তু ওই ৫ লক্ষ টাকা ফেরত হবে না।
পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কয়েক জন নেতার কাছেই গিয়েছেন ‘ভোটারস্ কানেক্ট ডিজিটাল’-এর প্রতিনিধিরা। তবে তাঁদের শর্ত, কাজের ধরন ঘিরে সংশয় ঘনাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, দলের বদলে কেন নেতাদের কাছে যাচ্ছে সংস্থাটি। একই কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ দু’জনকে জেতানোর ভার নিলে, কী ভাবে তারা কথা রাখবে, তা-ও স্পষ্ট নয়।
প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি নন সংস্থার এরিয়া সেলস্ ম্যানেজার নীতেশকুমার গুপ্তও। শুধু বলছেন, ‘‘কী ভাবে কী সম্ভব সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’ তবে তিনি মানছেন, ‘‘মেদিনীপুরে আমরা বেশ কয়েক জন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’’ সংস্থার দাবি, আগে পঞ্জাব, রাজস্থান, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ডে ভোটের অভিজ্ঞতা আছে তাদের।
এই সংস্থা নিয়ে অভিযোগ হয়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এমন একটি সংস্থা কথা বলেছে বলে শুনেছি। তেমন গরমিল পেলে অভিযোগ করব।’’ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার ফোন ধরেননি। তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি এই শুনলাম। খোঁজখবর নেব।’’
লোকসভা ভোটে ধাক্কার পরে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মধ্যে এমন সংস্থার আবির্ভাবে শোরগোল পড়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সংস্থার লোকজন অজিত ছাড়াও দেখা করেছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি, রমাপ্রসাদ গিরিদের সঙ্গে। শৈবাল মানছেন, ‘‘একটি সংস্থার এক জন বলেছেন, চুক্তি করলে জনপ্রিয় নেতা করে দেবে। বলেছি, দরকার নেই।’’
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘কাটমানি ফেরতের কথা বলে মমতা নিজেই দলের নেতাদের এক প্রস্ত বিপদে ফেলেছেন। এ বার প্রশান্ত কিশোরকে ডেকে এই ধরনের সংস্থার দরজাও খুলে দিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy