প্রতীকী ছবি।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এসপি শান্তি দাস বসাকের নেতৃত্বে শনিবার উত্তর দিনাজপুরে গেল কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশকর্মীদের উপরে হামলা, নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে তার দেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া ও বিজেপি কর্মীর ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে গুলি করে খুনের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নথিভুক্ত করেন তাঁরা। মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করা হয়। এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মৃত নাবালিকা ও মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে যান, যদিও তখন দুই পরিবারের বেশির ভাগ লোক বাড়িতে ছিলেন না। মৃত্যুঞ্জয়ের সমাধিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অধীর।
অধীর বলেন, “পুলিশ, প্রশাসন ও তৃণমূলের যৌথ উদ্যোগে বাংলায় চরম অরাজকতা চলছে।’’ দাবি, ‘‘তৃণমূলের মদতে বিজেপি ও আরএসএস ঘোলা জলে সম্প্রীতি নষ্ট করে রাজ্যকে আরও অশান্ত করার রাজনীতি করছে।” বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, ‘‘রাধিকাপুরে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে পুলিশ গুলি করেনি! অন্য গ্রহ থেকে দুষ্কৃতী এসে গুলি করেছে— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রকম ঘটনা সাজাতে চলেছেন। বরাবর এ রকম করা হয়।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে দিয়ে তদন্ত নিরপেক্ষ হতে পারে না। যেখানে পুলিশ অভিযুক্ত, সেখানে কী করে তদন্ত করবে? নিহতের পরিবারের সঙ্গে আমরাও ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছি। ’’
কোচবিহারের দোমহনিতে এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘‘যারা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের কী বলার থাকতে পারে? ওরা রাজনীতি করে মৃতদেহ নিয়ে, আমরা করি উন্নয়ন নিয়ে। উন্নয়নের রাজনীতি আমরা করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy