Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

৩ জঙ্গি ও ২ সঙ্গীকে পুলিশের ইউএপিএ

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃত উমর ফারুক ওরফে মাহি এবিটি-র বিস্ফোরক সংগ্রহ ও তৈরির দায়িত্বে ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০২
Share: Save:

এমনিতে বেশ কিছু পার্থক্য দু’টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে। কিন্তু একটা জায়গায় তাদের পদক্ষেপ এক রকম। বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে ভারতের মাটিকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) ও আনসার আল ইসলাম বা সাবেক আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-এর মধ্যে কোনও তফাত নেই। এটা পরিষ্কার হওয়ার পর কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবিটি-র তিন সন্দেহভাজন সদস্য ও তাদের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে আইনের কঠোর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার শিলিগুড়ির অদূরে পানিট্যাঙ্কির নেপাল সীমান্তের কাছে এবিটি-র সন্দেহভাজন সদস্য উমর ফারুক ওরফে মাহি ধরা পড়ে। তার বাড়ি বাংলাদেশের নরসিংদি জেলার রায়পুরা উপজেলায়। আর এ যাবত ধৃত মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে বুধবার ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন)-তে মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। আনা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও। গোয়েন্দারা দাবি করছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাতে যে ভাবে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তাতে এ দেশের নিরাপত্তাও বিপন্ন হতে পারত।

এ দিন সরকারি কৌঁসুলি শুভেন্দু ঘোষ ব্যাঙ্কশাল আদালতে উমর ফারুক-সহ ধৃত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় অভিযোগ আনার আর্জি জানান। ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ঋষি কুশারী ওই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃত উমর ফারুক ওরফে মাহি এবিটি-র বিস্ফোরক সংগ্রহ ও তৈরির দায়িত্বে ছিল। ২১ নভেম্বর কলকাতা রেলস্টেশনে ধরা পড়া সামশাদ মিয়াঁ ওরফে তনবির আর এই মাহি বাংলাদেশে একই সঙ্গে এবিটি-র শীর্ষনেতা মেজর জিয়াউল হক জিয়ার অধীনে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। তনবির আর মাহি একই সঙ্গে কলকাতায় পৌঁছয়। তার পর তনবিরের থেকে মাহি আলাদা হয়ে দুর্গাপুর চলে যায়। সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে ঢোকার চেষ্টা করার সময়ে সে ধরা পড়ে।।

মাহির কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মানচিত্রের স্কেচ ও জরুরি নথি মিলেছে। ধৃত মাহিকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, ২০১৬-য় বরিশালের একটি স্কুলের অধ্যক্ষ ও সহ-অধ্যক্ষকে খুনের পরিকল্পনা ছিল মাহির। খুনের পরিকল্পনার আগাম খবর আগেভাগে পেয়ে যায় র‌্যাব (র‌্যাপি়ড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন)। জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। সেই সময়ে রুবেল নামে এক জঙ্গি ধরা পড়ে যায়। মাহি পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসে। মাহিকে বুধবার ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে এবিটি-র তিন সন্দেহভাজন সদস্য ধরা পড়লেও স্বপন বিশ্বাস ওরফে তামিম এবং নয়ন গাজি এখনও ফেরার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE