বিচ্ছেদ আসন্ন। তার অব্যবহিত আগে দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার জেলায় গিয়ে তাঁকে কড়া আক্রমণের পথে হাঁটলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
তৃণমূল সূত্রের খবর, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আজ, সোমবারই অনুগামীদের নিয়ে শাসক দলে যোগ দিতে পারেন মানসবাবু। তার আগের দিন রবিবার খড়্গপুরের চণ্ডীপুরে দলের কার্যালয় উদ্বোধনে গিয়ে মান্নান বলেন, ‘‘এই মেদিনীপুর জেলায় চাচার মতো লোক পিএসি চেয়ারম্যানের পদ প্রত্যাখ্যান করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। আবার আমাদের দলে এমন লোকও আছেন যিনি ওই পদ পাওয়ার জন্য কংগ্রেসের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। এটা লজ্জার।” এর পরেই তাঁর কটাক্ষ, “এই মেদিনীপুর জেলা স্বাধীনতা আন্দোলনের পীঠস্থান। আবার এখানেই কিছু কুলাঙ্গার জন্মায়, যাদের জন্য এই জেলার লোকেদের মাথা হেঁট হয়ে যায়।”
এই আক্রমণের জবাবে মানসবাবু বলেন, ‘‘মান্নান চিরকালই বিক্ষুব্ধ রাজনীতি করেছেন। ক’দিন আগে যে মান্নান বলেছিলেন, অধীর চৌধুরী সভাপতি থাকলে তিনি কংগ্রেস দফতরে ঢুকবেন না, তিনি এখন মেদিনীপুরে গিয়ে কংগ্রেসকেই অসম্মান করছেন। তাঁর কাছ থেকে জ্ঞান শুনতে হচ্ছে, এর চেয়ে কলঙ্কের দিন আর হতে পারে না।’’
মানসবাবুর ভাই বিকাশ ভুঁইয়া এবং অন্য অনুগামীরা আগেই তৃণমূলে গিয়েছেন। অবশেষে তিনিও তৃণমূলে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। নিজের বিবেককে বোঝাতে মানসবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘বাবা বলেছিলেন, কংগ্রেস ছাড়িস না। বাবার আত্মাকে প্রণাম জানিয়ে বলছি, তিনি যে কংগ্রেসের কথা বলেছিলেন, সেই কংগ্রেস আজ আর নেই। আমি কংগ্রেস রাজনীতির বাইরে যাচ্ছি না।’’
মানসবাবুর পাশাপাশি নদিয়ার কালিগঞ্জ এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ককেও অভিষেকের মাধ্যমে তৃণমূলে আনার চেষ্টা চলছে বলে শাসক শিবির সূত্রের খবর। কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতাও তৃণমূলে যেতে পারেন। বসিরহাট পুরসভার কাউন্সিলর অসিত মজুমদার-সহ কয়েক জন প্রদেশ কংগ্রেস নেতার আজই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ২৬ জন, বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ ২১ জন, দেবকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা, নবগ্রাম ব্লকের কয়েক জন নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং প্রাক্তন জেলা পরিষদ কর্মধ্যক্ষ আতিবুর রহমান এ দিনই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy