বেলপাহাড়ির সভায় যুব তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি রক্তচাপ বাড়িয়েছিল প্রশাসনের। তবে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার বেলপাহাড়িতে সভা করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন-সহ দলীয় নেতৃত্ব। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে যুব তৃণমূলের ডাকে বেলপাহাড়ি থানার পাশে সার্কাস মাঠে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রথমে বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। বিকেল তিনটের কিছুক্ষণ আগে প্রথমে সভাস্থলে এসে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরে পৌঁছন অভিষেকও। শুভেন্দু বলেন, ‘‘গত চার বছরে জঙ্গলমহলে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে উন্নয়নের কাজ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই শান্ত হয়েছে জঙ্গলমহল।’’
তাঁর কথায়, ‘‘এই চার বছরে ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীরা একের পর এক লোককে খুন করেছে। তবে এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে জঙ্গলমহলের তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় মাওবাদীরা একটিও খুন করতে পারেনি।’’ তিনি বলেন, ‘‘পড়শি ঝাড়খণ্ড রাজ্যেই মাওবাদীদের রাজত্ব রয়েছে। মাওবাদীরা গোমতী থেকে গোদাবরী আলাদা একটা ভারতবর্ষ তৈরি করতে চাইছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের সরকারের লড়াই।’’ মাওবাদীরা যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকার কথাও বলেন তিনি। সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘মাওবাদীদের এক ছটাকও জমি ছাড়বে না রাজ্য সরকার।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গত চার বছরে জঙ্গলমহলে একটিও খুন হয়নি। একটাই খুন রয়েছে, তিনি হচ্ছেন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী মাওবাদী নেতা কিষেনজি।’’ সংবাদমাধ্যম ও কেন্দ্রের মোদী সরকারকেও আক্রমণ করেন দুই সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy