হাতে-হাত: সভা শেষে দলের কর্মীদের সঙ্গে অভিষেক। শুক্রবার পুরুলিয়া-বরাকর রোডে। ছবি: সুজিত মাহাতো
ভিড় ছিল থিকথিকে। বিজেপি-র পাল্টা সভায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়ে দিল শাসককদল তৃণমূল। বিজেপি -র বড়দিনের সভাটি ‘পুলিশি সন্ত্রাসের বিরোধীতায়’ বলে জানিয়েছিল। সেখানে গাঁজা-কাণ্ডে ধৃত শুভজিৎ মাহাতোকে গ্রেফতার করা নিয়ে জেলা পুলিশের সমালোচনা করেছিলেন মুকুল রায়। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেও নাম না করে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে যাঁরা এ ভাবে চমকাবেন তাঁদের জন্য কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে আমি পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করছি। এই অনুরোধ আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও করেছি।’’
গাঁজা পাচারের অভিযোগে পুলিশ পুরুলিয়া-রাঁচি রোডে সৈনিক স্কুলের কাছ থেকে চাষমোড় এলাকার বাসিন্দা শুভজিৎ মাহাতোকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের চুরির নাম করে ওই যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গীর ভাই হওয়ায় তার উপরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে বলে বিজেপি গোড়া থেকেই অভিযোগ তুলে আসছে। তবে তৃণমূলের তরফে এই ব্যাপারে বিশেষ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ দিনের সভায় শুভজিৎ প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বললেও অভিষেক বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দলের কাজ করবে, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে।’’
নাম না করে মুকুল রায়কে আরও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, ‘‘আমাদের দলে একটা জঞ্জাল ছিল। বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছিলাম বাংলা ছাড়া করব। এখনই শুনছি দিল্লিতে গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।’’ বিজেপি-র পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘আসলে তৃণমূলের কোন নেতা যে কখন বিজেপি-তে চলে আসবেন, তাই ভেবে ওঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। সর্বত্র ভূত দেখছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy