অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাছাকাছি থেকেও কেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রবিবার রাতেই বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি পরিদর্শনে এলেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূলের সেনাপতি জানালেন, কেন রাতেই তড়িঘড়ি কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বিকেলে বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সব জেলার আসনগুলিতে তো বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু তাঁদের কাউকেই দেখা গেল না। সুকান্ত মজুমদার কোথায়? উনি তো কাছেই থাকেন। এখনও তাঁর সময় হল না ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দেখতে আসার?’’
এ প্রসঙ্গেই অভিষেক জানান, কেন মুখ্যমন্ত্রী রাতেই উত্তরবঙ্গে চলে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সকালে হাসপাতালে গেলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানা প্রোটোকল থাকে। কাজে অসুবিধা হতে পারে। সেই জন্য উনি রাতে চলে এসেছেন। গ্রামে গিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কথা বলতে। হাসপাতালে গিয়েছেন। তদারকি করেছেন।’’
সোমবার জলপাইগুড়ির আসার সময় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। আমাদের সাধারণ বিমান, যখন সময় হবে, আমি যাব। রাজ্যপালও তেমন গিয়েছেন। আমি তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, মাল নদীতে হড়পা বানের সময়ে যদি ওঁর এই তৎপরতা দেখতে পেতাম, তা হলে ভাল লাগত। তা হলে বুঝতাম আপনি রাজধর্ম করছেন, ভোটধর্ম করছেন না।’’ শুভেন্দুর এই মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর (শুভেন্দুর) দাবি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী নাকি এখানে ছবি তুলতে এসেছেন। তা হলে আমার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী এলেন না কেন? উনি ছবি তুলতে ভালবাসেন। ওঁর জঙ্গল সাফারি দেখেছি আমরা। ভুটান সফর দেখেছি। উনি আসতে পারতেন। ফোটোশুটের ব্যাপারে বিজেপির কথা না বলাই ভাল। প্রচারসর্বস্বতাই তো ওদের রাজনীতি। এ বার মানুষ এদের শিক্ষা দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy