সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক জেলা হিসেবে রাজ্যে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারকে ‘মডেল’ চিহ্নিত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে সাত লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক। সেই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে দলের ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন তিনি। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে যে সংগঠনের উপরে ভর করে সাফল্য এসেছে, তাকে আরও ঘষেমেজে ধার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও।
লোকসভা নির্বাচনে ২০০৯ থেকেই ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল ধারাবাহিক ভাবে জিতে চলেছে। অভিষেক ২০১৪-য় প্রার্থী হওয়ার পরে ওই এলাকায় শাসক দল কার্যত অপ্রতিরোধ্য। বিরোধীদের নানা অভিযোগ থাকলেও শেষ লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকেই রাজ্যে সব থেকে বেশি ভোটে জিতেছেন অভিষেক। এখানকার ৭টি বিধানসভাতেও তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্য। এমন নির্বাচনী-হিসাবের অতীত থাকা সত্ত্বেও আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না তৃণমূল। তারই প্রস্তুতি নিয়ে এ দিনের সাংগঠনিক বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
পাশাপাশি, যাদবপুর ও বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গেও এ দিন বৈঠক করেছেন অভিষেক। দুই জেলাকেই গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জন্য সতর্ক করে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে বসিরহাটের অন্তর্গত হাড়োয়া, বসিরহাট-সহ বেশ কিছু বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক কোন্দলের বিষয়টি ওঠে। কয়েক জন বিধায়ক নিজেদের এলাকার সাংগঠনিক সমস্যার কথা বলেছেন। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ। বসিরহাট লোকসভার মধ্যে ৭টি বিধানসভা এলাকার কোথায় উন্নয়নের খামতি রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সূত্র ধরেই ঐক্যবদ্ধ ভাবেই এই এলাকায় লড়াইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)