সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গাড়িতে লাল বাতি থাকার কথা নয়। কিন্তু টোল চাওয়ার ‘অপরাধে’ ডানকুনি টোল প্লাজার কর্মীদের মারধর ও জুতোপেটা করায় অভিযুক্ত আবু আয়েশ মণ্ডলকে সোমবার দেখা গেল লাল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরতে। এ দিন বর্ধমান থেকে ডানকুনিতে থানাতেও সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান লাল বাতি লাগানো গাড়িতেই যান।
সরকারি গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহার সীমিত করতে চলতি বছরের জুন মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পরিবহণ দফতর। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি, বিধানসভার স্পিকার, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিরোধী দলনেতা শুধু মাত্র ফ্ল্যাশার-সহ লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী, বিধানসভার ডেপুটি-স্পিকার, কলকাতা পুরসভার মেয়র, রাজ্যের মুখ্যসচিব ফ্ল্যাশার ছাড়া লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারি কর্তারা এত দিন আইন মেনে লাল বাতি ব্যবহার করতেন, তাঁরা এ বার নীল বাতি ব্যবহার করবেন। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন ভারতরত্ন সম্মান প্রাপক বা বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যানেরা, তেমনই স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের মতো রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও।
তা হলে তাঁর গাড়িতে এ দিন লাল বাতি কেন? আবু আয়েশের জবাব, “আমায় তো কেউ নিষেধ করেনি।” দীর্ঘদিনের জন প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কি লাল বাতি ব্যবহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাও জানেন না? এ বার মুখে কুলুপ আবুর।
জুনে পরিবহণ দফতর যখন লাল বাতির ব্যবহার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, শাসক দলের কোনও শীর্ষনেতা বা ডাকসাইটে কোনও জনপ্রতিনিধি যদি তাঁর গাড়িতে লাল বা নীল বাতি লাগান, তা হলে পুলিশ কি আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে? পরিবহণ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা সে সময় স্পষ্ট করে দেন বিষয়টি পুলিশ দেখবে। হুগলি জেলা পুলিশ তা হলে কী করবে? জেলার এক পুলিশ-কর্তা আমতা-আমতা করে বলেন, “কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy