ফাইল চিত্র।
নাগরিকত্ব আইন খুব শীঘ্রই রাজ্যে প্রয়োগ হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা দিয়ে যেতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ দিকে, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ক্রমশ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন। বিজেপির কর্মসূচিতে ইদানীং দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনুর রাজনৈতিক অভিমুখ নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। তাঁকে নিজেদের ‘প্ল্যাটফর্মে’ এসে মতুয়াদের জন্য কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে তৃণমূল।
সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফর সেরে শুক্রবার রাতে গাইঘাটার ঠাকুরনগরের বাড়িতে ফিরেছেন শান্তনু। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে দেরি হলে তিনি কী রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টাবেন, বা তাঁর কি তৃণমূলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে? শনিবার এই প্রশ্নের শান্তনু সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘‘কোনও নোংরা রাজনীতির খেলায় আমি বিশ্বাস করি না। আগামী দিনে আমার রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করবে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মানব।’’
নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে রবিবার বোলপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় অভিযান করা সম্ভব নয়। কেবল বিধি প্রণয়নই বাকি আছে। করোনাভাইরাসের টিকা এসে গেলে এবং করোনার চক্র (সাইকেল) ভেঙে গেলে আমরা এই বিষয়ে ভাবব।’’ শাহের এই বক্তব্যে শান্তনু-সহ মতুয়াদের একটা বড় অংশ হতাশ। শান্তনু এ দিন বলেন, ‘‘স্বরাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্যে মতুয়া সমাজের মানুষ নিরাশ। ওঁর (শাহ) উচিত আমাদের সমাজের মানুষের কাছে এসে সিএএ নিয়ে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করা।’’
শান্তনুর কথায়, ‘‘আমি বিজেপি সাংসদ ঠিকই, তবে রাজনীতি করতে ভোটে নামিনি। আমার মোদ্দা কথা মূলত সিএএ। আমাদের সমাজের মানুষ ভারতবর্ষের নাগরিক হবেন, সেটা সবার প্রথম চাওয়া।’’ বিধানসভা ভোটের আগে যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, এবং সিএএ কার্যকর না হয় তা হলে কী হবে। শান্তনু বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল নয়, আমি আমার সমাজের মানুষের কথাই শুনব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy