শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় এ বার শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ কয়েক জন নেতাকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবারই ওই নেতাদের তলব করা হয়েছে। কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে আরও খবর এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শাহজাহানের ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লাও।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান-বাহিনীর বিরুদ্ধে। সে দিনের ঘটনায় জিয়াউদ্দিন-সহ বেশ কিছু নেতা সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকাতেই ছিলেন। এ বার তাঁদের তলব করতে চলেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। সূত্রের খবর, সে দিনের ঘটনায় তাঁদের প্রত্যেকের কী ভূমিকা ছিল, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তা-ই জানতে চাইবেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
সিবিআই তলব করার পরেই ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে যান জিয়াউদ্দিন-সহ মোট ছয় নেতা। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সিবিআই দফতরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। রবিবার শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
শাহজাহান শেখকে হাতে পেয়েও খুশি নয় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাল মিলিয়ে পুরোদমে চলছে তদন্ত। কিন্তু সিবিআই এখনও হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে শাহজাহানের মোবাইল। কারণ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, এই মোবাইলেই লুকিয়ে রয়েছে শাহজাহানের ‘প্রাণভোমরা’। সন্দেশখালির শেখ কাদের সঙ্গে ‘সন্দেশ’ বা বার্তা বিনিময় করেছেন তার বিশদ পাওয়া যেতে পারে ওই মোবাইলেই। যা গোপন করতে চাইছেন শাহজাহান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy