Advertisement
E-Paper

নারদ মামলা সরানোর আর্জি কেন, প্রশ্ন কোর্টে

চার মন্ত্রী-নেতার গ্রেফতারের দিনের জনবিক্ষোভ আদালতের কাজে প্রভাব ফেলে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২১ ০৫:৫০

ফাইল চিত্র

পশ্চিমবঙ্গের অনেক নিম্ন আদালতেই তো সিবিআইয়ের বিভিন্ন মামলার বিচার চলছে। তা হলে সিবিআই হঠাৎ কী কারণে নারদ মামলার বিচার প্রক্রিয়া অন্য রাজ্যের আদালতে সরাতে চাইছে, বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে সেই প্রশ্ন তুললেন অভিযুক্ত চার মন্ত্রী-নেতার অন্যতম আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে তিনি আবেদন জানান, সে-দিনের (১৭ মে) ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিবিআই-কে উচ্চ আদালতে জমা দিতে বলা হোক।

সিবিআই গত ১৭ মে নারদ মামলায় রাজ্যের চার মন্ত্রী-নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম (ববি), মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরে নিজ়াম প্যালেস-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলেই নিম্ন আদালতের শুনানি প্রক্রিয়া বাতিল এবং এই মামলা অন্যত্র স্থানান্তর করার আর্জি জানিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এখন সেই মামলার শুনানি চলছে।

চার মন্ত্রী-নেতার গ্রেফতারের দিনের জনবিক্ষোভ আদালতের কাজে প্রভাব ফেলে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল সিবিআই। সেই অভিযোগ খারিজ করতে গিয়ে কানহাইয়া কুমার ও রাম রহিমের মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আইনজীবী লুথরা জানান, ওই মামলাগুলিতেও বিক্ষোভ হয়েছিল। কানহাইয়ার মামলায় পাটিয়ালা হাউস কোর্ট চত্বরে প্রবল ভিড় হয়েছিল। কিন্তু আদালতের কাজকর্মের উপরে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। লুথরার বক্তব্য, ১৭ মে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়েছিল এবং ঘণ্টাখানেকের সেই শুনানিতে সিবিআই এক বারও বিক্ষোভের অভিযোগ করেনি। সিবিআই সে-দিন ভার্চুয়াল শুনানির জন্য হাই কোর্টের কাছে কী আর্জি জানিয়েছিল, তা-ও জানতে চান তিনি। লুথরা বলেন, “আজ পর্যন্ত সিবিআই সেই নথি জমা দিতে পারেনি। এই নিয়ে এত লুকোছাপার কী আছে!”

সে-দিন কী কী হয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যমে তার কতটা কী প্রচারিত হয়েছে, সিবিআই তা আদালতে জানিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে লুথরা এ দিন আদালতে জানান, বিচারক মামলাকে কী ভাবে দেখবেন, সংবাদমাধ্যম সেটা ঠিক করে দিতে পারে না। আদালত লুথরার কাছে জানতে চায় যে, ভার্চুয়াল শুনানির জন্য মুখ্যমন্ত্রী চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়ে তাঁদের কী বলার আছে? লুথরা জানান, কোনও চাপ তৈরি করা হয়নি। ২০০৪ সালে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা অভিযুক্তকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানোর জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করা হয়েছিল, তা-ও জানান তিনি।

এ দিন মামলার শুনানি চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে। আজ, বৃহস্পতিবার ফের নারদ মামলার শুনানি আছে।

CBI Kolkata High Court Narada Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy