রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান (আরএমএসএম) প্রকল্পে সরকারি নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের বেশির ভাগ হাইস্কুলই এখনও পর্যন্ত নতুন পরিচালন সমিতি গড়তে পারেনি। কেন্দ্র সরকারের অনুদান পেতে এ বার ওই সব হাইস্কুলে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বিভিন্ন চক্রের (সার্কেল) স্কুল পরিদর্শকদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
ওই সব হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে গোলমালের জেরেই সমিতি গড়া যাচ্ছে না এবং তার ফলে কেন্দ্রীয় অনুদান মিলছে না বলে বিভিন্ন হাইস্কুল এবং শিক্ষা দফতরের একাংশের অভিমত। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা চাইনি স্কুলগুলি দুর্ভোগে পড়ুক। সেই কারণেই প্রশাসক বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসক বসানো মানেই হল স্কুলগুলি সরকারি মদতপ্রাপ্ত হিসাবে পরিচিত হল। ফলে, তাদের আর আরএমএসএম প্রকল্পে টাকা পেতে অসুবিধা হবে না।’’
২০০৯ সালে এ রাজ্যে চালু হয় আরএমএসএম। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের সহায়ক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র এই প্রকল্পে অনুদান দিচ্ছে। তবে অনুদান পাওয়ার প্রধান শর্ত, স্কুলগুলিকে পরিচালন সমিতি গঠন করতে হবে সরকারি নিয়ম মেনে। পদাধিকার বলে নতুন পরিচালন সমিতির সম্পাদক হওয়ার কথা প্রধান শিক্ষকের। সভাপতি হবেন স্কুল শিক্ষা দফতরের পাঠানো প্রতিনিধি। প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি মিলে সমিতির বাকি সদস্যদের নাম ঠিক করবেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে সভাপতি মনোনয়নকে কেন্দ্র করেই। নিয়ম হল— স্কুল শিক্ষা দফতরে সভাপতির নাম পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিধায়ক বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এই নাম পাঠাতে পারেননি।