দুর্ঘটনার খবর পেয়েছিলেন সকালেই। দুপুরেই বহরমপুর ছুটে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং পরিবহণ সচিব। জেলাশাসকের দফতরে আলোচনা করেই ভান্ডারদহ বিলের দিকে ছুটতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। গাড়ি থামিয়ে হাঁটতে থাকেন সেতুর দিকে। কিন্তু, সেতুর মুখে পৌঁছেই বুঝতে পারেন তিনি গেলে ভিড় বাড়বে। ঘনিষ্ঠদের জানান, বিপত্তি বাড়িয়ে লাভ নেই। এর পরেই তিনি সাংবাদিকদের ডেকে নেন। কথা বলেন সেতুর মুখে দাঁড়িয়েই। তার পর ফের ফিরে যান জেলাশাসকের দফতরে। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ যান বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে প্রথমে জরুরি বিভাগের সামনে যান। সেখান থেকে পরে যান মর্গের সামনে। মাইক হাতে নিয়ে শান্ত করেন মানুষজনকে। জানান, তিনি লোকজনের উদ্দেশ্যে জানান, ‘‘শুভেন্দু ও মহুয়া মেডিক্যাল কলেজে থাকবে। আপনাদের সমস্যা হলে ওদের সঙ্গে কথা বলবেন।’’ তার পর ফিরে যান সার্কিট হাউসে।
রাতে ঘটনাস্থলে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, পরিবহণ দফতর যে বাসটি পুরসভাকে দিয়েছিল তার অবস্থা প্রথম থেকেই খারাপ ছিল। এ দিনের উদ্ধারকার্য নিয়েও রয়েছে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এ রাজ্যে যা ব্যবস্থা থাকার কথা তা আদৌ নেই।’’