মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
ইয়াস-পরবর্তী পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষে স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অভিযোগ, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি বাবদ যৎসামান্য অর্থই দিয়েছে কেন্দ্র। তার উপর রাজ্যের অর্থনীতিতেও চাপ থাকার কারণে এমন ভাবে মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হয়েছে। তবে ইয়াস ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থের দাবি বারবার যে কেন্দ্রের কাছে করা হবে না, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বাড়িতে যদি এক থালা ভাত থাকে, তার অর্ধেক দিয়ে আমি মানুষকে বাঁচাবো। আমরা বারবার ভিক্ষা চাইনা। একবার রাজ্যের দাবি জানাতে হবে, তাই জানিয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে অগ্রিম হিসেবে। আলাদা করে কিছু দেয়নি। আমাদের প্রাপ্য টাকা থেকে মাছের তেলে মাছ ভেজেছে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বল্প মেয়াদি হিসেবে ত্রাণ-ক্ষতিপূরণের কাজ হয়েছে। মাঝারি সময়ের পরিকল্পনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামোগুলি সাজিয়ে তুলতে ৩০টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় দিঘা এবং সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে মাস্টার প্ল্যান তৈরি
হবে। এ জন্য ২৪ জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। মমতার কথায়, “প্রতি বছর ঝড়-জলে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে প্রাকৃতিক সম্পদকেই কাজে লাগাতে চাই।”
ইয়াসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিঘার ৫২ জনকে চাকা লাগানো নতুন স্টল দিয়েছে রাজ্য। ১১৪ জনের ক্ষতিগ্রস্ত স্টল সারিয়েও দেওয়া হয়েছে। শহরের হকারদের জন্যও চাকা লাগানো স্টল তৈরির নির্দেশ কলকাতা পুরসভাকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুয়ারে ত্রাণের মাধ্যমে ১৯.১ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নানারকম সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের ৩৬৪.৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আজ, শুক্রবারের মধ্যে দুয়ারে ত্রাণের সব কাজ আশা শেষ হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy