মৃতদেহ উদ্ধার করার মহড়াও শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
উত্তর দিনাজপুরে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ উঠেছিল। মাসখানেক আগের ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে। ওই দেহ উদ্ধারের কাজে যুক্ত চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়। ভবিষ্যতে দেহ উদ্ধারের সময়ে তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে, জেলার দশটি থানার জন্য দশটি করে মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ (বডিব্যাগ) ও একটি করে ‘স্ট্রেচার’ বরাদ্দ করেছে রাজ্য পুলিশ। গোলমালের আবহে পুলিশের ঘেরাটোপে সেগুলির সাহায্যে মৃতদেহ উদ্ধার করার মহড়াও শুরু হয়েছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ-জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার বুধবার বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলার সব থানায় পুলিশকর্মীদের নিয়ম মেনে, সম্মানের সঙ্গে মৃতদেহ উদ্ধারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি থানায় মৃতদেহ বহনকারী পর্যাপ্ত ব্যাগ ও স্ট্রেচার বরাদ্দ করা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরেই রাতে জেলার বিভিন্ন থানায় এই মহড়া চলছে। এ কাজে ১১ জন করে পুলিশকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ইনস্পেক্টর ও ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। মহড়ায় এক জন পুলিশকে ‘মৃতদেহ’ সাজিয়ে এক বার তাঁকে পাঁচ জন মিলে স্ট্রেচারে করে ‘উদ্ধার’ করছে, আর এক বার ব্যাগে করে আনা হচ্ছে সেই ‘দেহ’। একই সঙ্গে সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে ওই পাঁচ জনকে পুরোটা ঘিরে রাখছেন আরও ছয় পুলিশকর্মী, যাঁদের হাতে থাকছে ঢাল ও লাঠি। ইট থেকে বাঁচতে সব পুলিশকর্মীকে বিশেষ ধরনের পোশাকও দেওয়া হয়েছে।
২১ এপ্রিল নাবালিকার দেহ উদ্ধারের সময় যে গোলমাল হয়, তা নিয়ে পরে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। আক্রান্ত হয় থানাও। মুখ্যমন্ত্রীও মন্তব্য করেন, পুলিশকর্মীদের মৃতদেহ ‘ওই ভাবে নিয়ে যাওয়া ‘উচিত হয়নি’। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য থানাগুলিকে ১০টি করে ‘ব্যাগ’ দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy